সুন্নি এবং শিয়া মুসলিমদের আযানে যতো পার্থক্য(ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০১৮, ০৭:৪০ পিএম
সুন্নি এবং শিয়া মুসলিমদের আযানে যতো পার্থক্য(ভিডিও)

ঢাকা : বিশ্ব মুসলিমদের জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে নামাজ। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, নামাজ হলো বেহেস্তের চাবি সরূপ আর সেই নামাজের ওয়াক্তে মুসুল্লিদের মসজিদের দিকে ডাকা হয় আযানের মাধ্যমে।

বলা হয় বিশ্বের সমস্ত সুরের শ্রেষ্ঠ সুর হচ্ছে আযান। তবে এই আযানের মধ্যেও সময়ের বিবর্তনে এসেছে পার্থক্য। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধারা সুন্নি এবং শিয়া। এই দুই ধারার মুসলিমদের আযানেও রয়েছে ভিন্নতা। 

তবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর সময় যে ভাবে আযান শুরু হয়েছিলো বিশ্বের সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায় এখনো সেভাবেই আযান দিয়ে থাকে। কিন্তু শিয়া সম্প্রদায় তাদের আযানের শব্দগত অনেক পরিবর্তন করে ফেলেছে। নিচের ভিডিওটিতে শিয়া সম্প্রদায়ের আযান শুনলেই বুঝতে পারবেন।  

আযান প্রবর্তনের ইতিহাস :
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে নামাজের জন্য আহ্বান করা বিপজ্জনক ছিল বলে মুসলমানদের প্রথম দিকে গোপনে নামাজে ডাকা হতো। মদিনায় আগমনের পর রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নেতৃত্বে একটি সভা আহ্বান করা হলো। সে সভায় এ সম্পর্কে নানা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলো, কিন্তু একটিও হজরতের মনঃপূত হলো না। এ সময়ে ওমর (রা.) হজরতকে বললেন, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন, কে যেন তাকে আজানের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা দিচ্ছেন। হজরত যুক্তিতর্কের সাহায্যে আজানের তত্ত্ব উপলব্ধি করে তা গ্রহণ করলেন এবং তখন থেকে ইসলামী দুনিয়ায় আজানের রীতি প্রবর্তিত হলো। হাবশি মুসলমান হজরত বিলাল সর্বপ্রথম মুয়াজ্জিন নিযুক্ত হয়ে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য আজান দিয়ে আহ্বান করলেন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং নামাজের আগে ওজুর রীতিও প্রবর্তিত হলো। প্রত্যেক শুক্রবার দুপুরবেলা মুসলমানদের সংঘবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ার প্রথা ধারাবাহিক রূপ পরিগ্রহ করল (প্রথম হিজরি, ৬২২ খ্রি.)। 

ভিডিওটিতে আযান দিচ্ছে এক শিয়া শিশু। মনোযোগ দিয়ে শুনুন....


গো নিউজ২৪/আই

ইসলাম বিভাগের আরো খবর