হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর প্রিয় খাবারসমূহ


প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০১৫, ১০:১৫ পিএম
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর প্রিয় খাবারসমূহ

দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- তাঁর জীবদ্দশায় যে সকল খাবার আহার করেছেন তন্মধ্যে তাঁর কিছু প্রিয় খাবার ছিল। তিনি যেসব খাবার আহার করতেন বা আহার করতে পছন্দ করতেন তার মধ্যে কিছু খাবারের গুণাবলীসহ উল্লেখ করা হলো। দেড় হাজার বছর পর আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেসব খাবার আহার করতেন তার গুণাগুণ ও উপাদান মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও যথাযথ।

নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে -

. খেজুর : খেজুরের গুণাগুণ ও খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ রাখে। এটা থেকে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। প্রিয়নবী (সাঃ) বলতেন, যে বাড়িতে খেজুর নেই সে বাড়িতে কোনো খাবার নেই। এমনকি প্রিয়নবী (সাঃ) সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

. দুধ : দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়, মস্তিষ্ক সুগঠিত হয় এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের বিজ্ঞানিরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং এর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।

. মধু : মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে। মধুকে খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা। হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান করা ঠান্ডার জন্য উপকারী। খাবারে অরুচি, পাকস্থলীর সমস্যাসহ নানা কাজে মধু উপকারী।

. বার্লি (জাউ) : এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের পীড়ায় উপকারী।

. আঙ্গুর : প্রিয়নবী (সাঃ) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভালো বাসতেন। আঙ্গুর অত্যান্ত উপকারী ফল। এই খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির কারণে এটা থেকে আমরা তাৎক্ষণিক এনার্জি পাই এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।

৬. তরমুজ : সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। যেসব গর্ভবর্তী মায়েরা তরমুজ আহার করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও বৈজ্ঞানিক সত্য।

. ডালিম-বেদানা : বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে। প্রিয়নবী (সাঃ) বলেছেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ চিন্তা থেকে বিরত রাখে।

. ডুমুর : ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজগুণসম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী খাবার।

৯. জলপাই তেল : অলিভ অয়েলের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ অনেক। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী এবং বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে। এছাড়া অলিভ অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।
. খাবার পানি : পানির অপর নাম জীবন। পানির ভেষজগুণ অপরিসীম। পানি পৃথিবীর সেরা তরল খাবার। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান করতে বলেন।

বি/ইউ

ইসলাম বিভাগের আরো খবর