করোনাভাইরাসের চরিত্রে বদল এসেছে সময়ে সময়ে। করোনা পরিস্থিতি বিচার করে যেমন লকডাউন নিয়মে বদল এসেছে তেমনি ভারতের প্রতিটি রাজ্যই কোয়ারেন্টাইনের নিয়মেও বদল এনেছে।
প্রয়োজন ও কাজসূত্রে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়া ব্যক্তিদের পৃথকীকরণ এবং সেলফ আইসোলেশনের নির্দেশিকা সংশোধিত হয়েছে। ভারতে কোয়ারেন্টাইন নির্দেশিকা প্রথম বদল করেছে কেরালা রাজ্য। দক্ষিণের এই রাজ্যে যেসকল ব্যক্তি আসবে তাদের ১৪ দিনের বদলে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এমনকি বর্তমানে কিছু রাজ্য কিছুদিনের জন্য ব্যবসায়িক সফরে ভারতে আসা বিদেশি যাত্রীদের জন্য আইসোলেশনের নিয়ম শিথিল করেছে। কিছু কিছু যাত্রীর জন্যও গাইডলাইন সহজতর করা হয়েছে। বিদেশি যাত্রীদের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদও কমিয়ে ৭ দিন করেছে সরকার এবং পরবর্তীতে ৭ দিন তাদের হোম আইসোলেশনে থাকার বিধি জারি করেছে।
বিদেশি যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত হোটেলগুলোতে বিনামূল্যে কোয়ারেন্টাইন সরকারি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সাত দিনের জন্য। এরপর যাত্রীদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়ের জন্য, যাত্রীদের যাত্রা শুরু করার ৯৬ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টগুলো আপলোড করতে হবে। তবেই কোয়ারেন্টাইনে ছাড় মিলবে।
আর ভারতীয় যাত্রীদের জন্য সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মী-সদস্যদের পরবর্তী সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীরা যারা উপসর্গহীন তাদের বাড়িতেই ১৪ দিনের স্ব-পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে মমতা প্রশাসন। যেসকল ব্যক্তির দেহে উপসর্গ রয়েছে তাদের কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীতার সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বিদেশি যাত্রীদের যাত্রার ৯৬ ঘণ্টা আগে কোভিডের আরটি-পিসিয়ার পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টের একটি প্রতিবেদন নিজের কাছে রাখতে হবে। বিমানবন্দর ছাড়ার আগে তা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। ‘এয়ার সুবিধা পোর্টালে’ এই রিপোর্ট জমা করলে সেখান থেকে যাত্রীদের একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যেগুলোতেও কম বেশি একই চিত্র। কোথাও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আবার কোথাও ৭ দিন করে ইনস্টিটিউশনাল এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি হয়েছে। সব রাজ্যেই প্রথম ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস