রাখাইনে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে রোহিঙ্গারা: আইসিজে


নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৩:৪৩ পিএম
রাখাইনে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে রোহিঙ্গারা: আইসিজে

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আদালত সর্বসম্মতভাবে এ আদেশ জারি করেছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রায়ে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় বিচারের এখতিয়ার প্রশ্নে মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করা হয়েছে।রায়ে বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্রই বিচারের উর্ধ্বে নয়।

বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) রায় পড়া শুরু করেন আদালতের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাওয়াই আহমেদ ইউসুফ। 

রায়ের একপর্যায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাখাইনে গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমারের। তাদের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার এ মামলা চলবে।মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে। 

রায়ে আরও বলা হয়, রাখাইনে সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অবহেলা ছিল।রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতন গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে।রোহিঙ্গারা সেখানে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

আইসিজে’তে করা মামলায় মিয়ানমার অসহযোগীতা করেছে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায়ে আরও বলা হয়, মিয়ানমারকে জেনেভা কনভেনশন মেনে চলতে হবে। গাম্বিয়ার দাবি যথাযথ। দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমার। এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতেই পারে। 

রায়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং এ ধরণের সব সংগঠনকে গণহত্যা ঘটানো থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে।

একইসঙ্গে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে মিয়ানমার কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা ৪ মাসের মধ্যে জানাতে হবে। এবং তাদের সুরক্ষায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতি ৬ মাস পরপর জানাতে হবে।এছাড়া মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রমাণাদি সংরক্ষণ করতে হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে। মিয়ানমার গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের মাধ্যমে "রোহিঙ্গাদের একটি দল হিসাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে" "গণহত্যামূলক কাজ" করেছে বলে অভিযোগ করে মামলায়।

গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার।

গো নিউজ২৪/আই

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর