চিকিৎসা নিতে ফার্মেসিতে আহত হনুমান


নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম
চিকিৎসা নিতে ফার্মেসিতে আহত হনুমান

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মল্লারপুর স্টেশনের প্রবেশমুখে শনিবার সকালে দুটি পূর্ণবয়স্ক হনুমান মারপিট করছিল। কে কাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলতে পারবে তার লড়াই চলতে থাকে। হনুমানের মল্লযুদ্ধ দেখে জড়ো হওয়া অনেকে হাততালিও দিতে থাকেন। মারামারিতে আহত হয় দুটি হনুমানই। কিছুক্ষণ পরে রণে ভঙ্গ দিয়ে একটি হনুমান পালিয়ে যায়। অন্যটি বসে থাকে চুপ করে। বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।

সকালের ভিড়ে ঠাসা স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের নিয়ে টোটোর (তিন চাকার যান) যাওয়া আসা চলতেই থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা একটি টোটোয় চড়ে বসে আহত হনুমানটি। করুণ চোখে সহযাত্রীদের গায়ে হাত রেখে বোঝানোর চেষ্টা করে সে আক্রমণ করবে না। মল্লারপুর স্টেশন থেকে কিছু দূরে পঞ্চায়েত ভবন। সেখানেই একটি ওষুধের দোকানের সামনে নেমে পড়ে হনুমানটি।

ওষুধ দোকানের মালিক আনাজুল আজিম বলেন, দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করছিল হনুমানটি। দোকানের ভিড় একটু কমতেই লাফ দিয়ে কাউন্টারে উঠে বসে কোমরের নিচে ও শরীরের অন্য অংশে ক্ষতস্থানগুলো দেখাতে থাকে। আমার হাত ধরে এমন ভাব করে যেন চিকিৎসা চাইছে।

দোকানে ওষুধ নিতে এসেছিলেন শক্তিপদ মিস্ত্রি নামে স্থানীয় এক যুবক। তিনিও হাত লাগান আহত হনুমানের ক্ষতে। তারা হনুমানটির গায়ে মলম লাগায় ও ব্যান্ডেজ করে। ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়ার পরেও ক্ষতস্থানগুলো বারবার দেখাতে থাকায় আনাজুলের মনে হয় ব্যথার জন্য হনুমানটি এমন করছে। তাই কাপে পানি নিয়ে একটি ব্যথা কমার ওষুধও খাওয়ানো হয় তাকে। সঙ্গে চারটি কলা। কিছুক্ষণ বসে থেকে আনাজুলের কাঁধে হাত রেখে দোকানের কাউন্টার থেকে রাস্তায় নেমে ফের একটি স্টেশনগামী টোটোয় চড়ে বসে সে।            

বন্যপ্রাণী গবেষক শান্তিনিকেতনের ঈশানচন্দ্র মিশ্র বলেন, যেসব প্রাণী মানুষের কাছাকাছি থাকে তাদের কেউ কেউ মানুষের আচরণ, কার্যকলাপ অনুসরণ করে। হনুমান, বানর বা কুকুরের অনুসরণের ক্ষমতা অনেক বেশি।

গো নিউজ২৪/আই

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর