ঋণ নিতে জমি, বাড়ি বা অন্য কিছু জামানত রাখার নিয়ম সবখানেই আছে। তাই বলে বন্ধক হিসেবে ঋণগ্রহীতার নগ্ন ছবি জমা রাখার বিষয়টি বোধহয় একেবারেই অভিনব! আর এই ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে চীনের বেইজিংয়ে। এমন অদ্ভুতুড়ে ঋণের শর্তের অভিযোগ বেইজিংয়ের জেডি ক্যাপিটাল’স জিদাইবাও নামে একটি অনলাইন ঋণ সংস্থার বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন এক নারী। প্রথমে তিনি খুব সহজেই ৭৬ ডলার ঋণ নেন ওই অনলাইন সংস্থা থেকে। সময় মতো সেই ঋণ শোধও করেন। ঘাপলা বাঁধে এরপর যখন তিনি আরো বড় অংকের ঋণ নিতে চান। এবার ঋণের বিনিময়ে জামানত হিসাবে তার নগ্ন ছবি চায় সংস্থাটি।
বেইজিং পুলিশ জানায়, শুধু এই একটি ক্ষেত্রই নয়। সংস্থাটি অনেক নারীর ক্ষেত্রেই এটা করেছে। অনেক নারী চরম বিপদের মুহূর্তে বাধ্য হয়ে নিজের নগ্ন ছবি জমা রেখে ঋণ নিয়েছে। সংস্থাটি প্রথমবার খুব সহজে কোনও গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ দেয় নারীদের। দ্বিতীয়বার যখনই ঋণ নিতে চান কোনও নারী, তখনই তার থেকে গ্যারান্টি বা জামানত হিসাবে নগ্ন ছবি এবং একটি পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। সময়মতো ঋণ শোধ না করলে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয় সংস্থাটি।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বেইজিং ইয়ুথ ডেইলির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জেডি ক্যাপিটাল’স জিদাইবাও নামের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ছাত্রীদের কাছে এ ধরনের ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি অনলাইন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অনেক ছাত্রীর কাছে এ ধরনের ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছে, ঋণের অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেই নগ্ন ছবি প্রকাশ করা হবে অনলাইনে।
জিয়াংসু প্রদেশের লিন জিয়াও জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য তার কিছু অর্থ দরকার ছিল। তিনি নিরুপায় হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে জেডি ক্যাপিটালে নিজের নগ্ন ছবি জমা দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ঋণ নেন। চার মাস পর তিনি দেখেন, সেই ঋণের অর্থ সুদে-আসলে দ্বিগুণ হয়েছে। এরপরই ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, ঋণের অর্থ ফেরত না দিলে তার নগ্ন ছবি অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়া হবে। পরে তিনি সবকিছু বিক্রি করে ও পরিচিতদের কাছ থেকে ধার করে ঋণ শোধ করেন।
গো নিউজ২৪/আই