শ্বশুরের আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হত্যা করা হল গৃহবধূকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পশ্চিম বঙ্গের সোনারপুরের গোবিন্দপুর লাঙলবেরিয়ার।
বুধবার (৮ আগস্ট) বিকেলে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ মৃত গৃহবধূর শ্বশুর তপন মণ্ডল ও স্বামী সুজন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।
বছর চারেক আগে স্কুলে পড়ার সময় সুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ওই মহিলার। তাদের বিয়েও হয়। অভিযোগ, পুত্রবধূর উপরে প্রথম থেকেই তার শ্বশুর তপন মণ্ডলের কু-নজর ছিল। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে একাধিকবার ছেলের বউয়ের উপর হামলে পড়েছিল অভিযুক্ত শ্বশুর।
ওই মহিলা বিষয়টি তার মা ও মাসিকে জানান। তারা এই নিয়ে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু চাপা স্বভাবের মহিলা এ নিয়ে কাউকে কিছু বলে উঠতে পারেননি।
বুধবার একই ভাবে বাড়িতে একা পেয়ে আড়াই বছরের নাতির সামনেই তার উপরে হামলে পড়ে অভিযুক্ত শ্বশুর। এ বিষয়ে সকলকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাকে মারধর শুরু করে তপন মণ্ডল।
কিছুক্ষণ পর স্বামী ও শাশুড়ি বাড়ি ফিরলে এ বিষয়ে তাদের জানান নির্যাতিতা। অভিযোগ, এই ঘটনার প্রতিকার না করে উল্টো তারা ওই গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
বুধবার দুপুরে নির্যাতিতার বাপের বাড়ির লোকজন খবর পান যে তিনি অসুস্থ। তড়িঘড়ি তারা মহিলার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন বারান্দায় শোয়ানো রয়েছে মেয়ে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদেহের পায়ে, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের লোকেদের। তাদের অভিযোগ, শ্বশুরের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ও প্রতিবাদ করার কারণেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাকে। তবে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কিন্তু তার গলায় কোনও ফাঁসের চিহ্ন ছিল না, এমনটাই বলছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা।
গো নিউজ২৪/আই