গুহা থেকে মুক্ত হওয়া থাই ১২ খুদে ফুটবলার ও তাদের কোচকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে একটি সংবাদ সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় তারা যে যার বাড়ি ফিরে গেছে।
বাড়ি ফেরার আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয় কিশোররা।'থাইল্যান্ড মুভ ফরোয়ার্ড' নামের সংবাদ সম্মেলনটি থাইল্যান্ডের জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গুহার ভেতরে প্রথম ডুবুরিদের দেখা পাওয়ার মুহূর্তটিকে ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেছেন কিশোররা।
সেসময় ওই বালকদের মধ্যে কেবল আদুল সাম-অন (১৪) ইংরেজি বলতে পারেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ব্রিটিশ ডুবুরিরা তাদের খুঁজে পাওয়ার পর শুধু ‘হ্যালো’ বলবার শক্তি অবশিষ্ট ছিল তার দেহে।
একটি ছেলে জানায়, গুহার ভেতর তারা পাথরের চুঁইয়ে পড়া পানি খেয়ে বেঁচে ছিল। সে বলে, পানি পরিষ্কার, কিন্তু কোনো খাবার ছিল না।
কোচ একাপোল চান্টাওয়ং বলেন, আমরা গুহা থেকে সুড়ঙ্গ খুড়ে বের হওয়ার কথা ভাবছিলাম। কর্তৃপক্ষ কখন এসে উদ্ধার করবে, তার আশায় বসে থাকা সম্ভব ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে চিয়াং রাই রাজ্যের গভর্নর প্রাচন প্রাতসুকান জানান, ক্ষুদে ফুটবলারদের জন্য এটাই একমাত্র আনুষ্ঠানিক সংবাদ স্মমেলন। এরপর তারা আর কোথাও সাংবাদিকদের সাথে দেখা করবে না।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের চিয়াং রাইয়ের থেম লুয়াং গুহায় ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই ১২ কিশোর ফুটবলার ও ২৫ বছর বয়সী তাদের কোচ প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে আটকে পড়ে। আর্ন্তজাতিক ও স্থানীয় উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা প্রায় ২ সপ্তাহ পর তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধার হওয়ার পর তারা চিয়াং রাইয়ের একটি হাসপাতালে ছিল।
এর আগে হাসপাতালে কিশোরদের সামনে ডুবুরি সামানের একটি ছবি রাখা হয় বলে জানা গেছে। তাদের জানানো হয়, ইনি হলেন সেই ডুবুরি যিনি তোমাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। এ কথা শোনার পর নিজেদের আর দমিয়ে রাখতে পারেনি কিশোর ছেলেরা। ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
গো নিউজ২৪/আই