ইউক্রেন সুন্দরীর জন্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের ঘুম হারাম


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০১৮, ০১:৪০ পিএম
ইউক্রেন সুন্দরীর জন্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের ঘুম হারাম

ভারতের মডেলিংয়ের বাজারেও হঠাৎ করেই ভিড় বাড়ে বিদেশি মডেলদের। এদের অধিকাংশই সাবেক সোভিয়েতের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। মডেলিং পেশাকে হাতিয়ার করেই রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে যাতায়াত শুরু করে দারিয়া মোলচা। এমনই এক পার্টি থেকেই আলাপ দিল্লির ব্যবসায়ী ইমশামের সঙ্গে। দারিয়া দ্রুত হিন্দিও শেখেন। ইউক্রেনের বাসিন্দা হলেও দারিয়া হিন্দি ভালোই বোঝেন। ভাঙা ভাঙা হিন্দি বলতেও পারেন।
 
পার্টিতে আনাগোনার সূত্রে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এক আইপিএসের সঙ্গে আলাপ দারিয়ার। রাজধানীর পার্টি সার্কেলে ওই আইপিএস খুব পরিচিত মুখ। তখন তিনি দিল্লিতেই কর্মরত। দারিয়া দ্রুত ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় এই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে।

আর এই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গী হয়েই যাতায়াত বাড়ায় অন্যান্য পার্টিতে। ওই পার্টিগুলোতে রাজধানীর একাধিক শীর্ষ আমলা, সেনাকর্তারা নিয়মিত যাতায়াত করতেন। বেশ কয়েকবার বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে বিনা নথি ও পরিচয়পত্রে দারিয়ার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এই আইপিএস।

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন সুন্দরী দারিয়া মোলচা এখন ঘুম কেড়েছেন ভারতের গোয়েন্দা কর্মাকর্তাদের। তরুণী দারিয়া মোলচা কি কোনো বিদেশি সংস্থার চর না নিছক এসকর্ট?

এ মাসের শুরুতেই দারিয়াকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। দারিয়ার কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল থেকেই সামনে আসে এ রাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা।

জানা গেছে, পশ্চিম এশিয়া, চীনসহ একাধিক দেশে তার যাতায়াতের তথ্যও। ভারতে আসার আগে দীর্ঘদিন চীনে কাটিয়েছিলেন দারিয়া। আর এই চীন ভ্রমণই এখন সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তকারীরা ছাড়াও দারিয়াকে জেরা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা এখন নিশ্চিত দারিয়া নিছক এসকর্ট নয়।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই শীর্ষকর্তাকে ব্যবহার করে একাধিক শীর্ষ আমলার ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন দারিয়া। আর সেটা শুধু টাকার জন্য নয় বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার।

তার দাবি, যৌনতাকে ব্যবহার করে চরবৃত্তিতে এক সময় কুখ্যাত ছিল রুশ গোয়েন্দা সমস্থা কেজিবি। কিন্তু গত এক দশকে কেজিবির থেকেও এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠেছে চীনা গোয়েন্দারা।

দারিয়ার বন্ধু ব্যবসায়ী অনুজ পোদ্দার তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, নেপাল হয়ে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। জেরায় দারিয়ার দাবি, দুবাইয়ের মডেলিং এবং এসকর্ট সার্ভিসে যোগ দেয়ার জন্যই তিনি যাচ্ছিলেন।

কিন্তু এখনো দারিয়ার দুবাইযোগ নিয়ে কোনো তথ্যই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঠিক একইভাবে চীন সম্পর্কিত সব প্রশ্নই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

 

গো নিউজ২৪/আই
 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর