সু চির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৭, ০২:১৮ পিএম
সু চির সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্যাতনের মুখে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৈঠক করছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে সু চির কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইনে গত আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বুধবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিয়াও টিন্ট সুয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক মিয়ানমার টাইমস বলছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শিগগিরই দুই দেশের মাঝে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক চেষ্টার মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।

দেশটির সামাজিক কল্যাণ, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রী ইউ মিন মিয়াত আয়ে বলেছেন, প্রত্যাবাসন চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশের আগ্রহ রয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনার অর্থই হচ্ছে সমঝোতা। কোনো পক্ষেরই ১০০ শতাংশ দাবি পূরণ হবে না।

উল্লেখ্য, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের আগে কর্মকর্তারা বসে চুক্তির শর্ত অনেকটা চূড়ান্ত করেন।

এদিকে চুক্তির শর্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে নেইপিদো থেকে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বুধবার রাতে বলেন, ‘চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ কিছুটা ছাড় দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল- জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ সব উন্নয়ন সহযোগীর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত শুধু ইউএনএইচসিআরকে প্রয়োজনমতো কাজে লাগাবে বলে সম্মত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তি সই হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। বাংলাদেশ চেয়েছিল কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শেষ হবে তার একটি সময়সীমা। কিন্তু মিয়ানমার এমন সময়সীমা দিতে রাজি হয়নি। তা ছাড়া গত বছরের অক্টোবরের পর আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়েই ফোকাস থাকবে। পরবর্তীতে সব রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এদিকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দফতরের মন্ত্রী খিও তিন্ত সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ চুক্তিটি সই করার ব্যাপারে আশা করছি।’

উল্লেখ্য, গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীবিরোধী অভিযান শুরুর জেরে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি থেকে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পুরনো রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ।

গোনিউজ/এমবি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর