রোহিঙ্গা সংকট অবসানে ‘বলিষ্ঠ ও দ্রুত’ পদক্ষেপ চান ট্রাম্প


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭, ০৯:৪৫ এএম
রোহিঙ্গা সংকট অবসানে ‘বলিষ্ঠ ও দ্রুত’ পদক্ষেপ চান ট্রাম্প

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট অবসানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ‘বলিষ্ঠ ও দ্রুত’ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের সংস্কার বিষয়ক এক বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ট্রাম্পের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠকে মাইক পেন্স মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।  তিনি বলেন, ‘এটা করা না হলে ‘ঘৃণা ও বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করা হবে, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ওই অঞ্চলকে গ্রাস করতে পারে এবং আমাদের সবার জন্যই হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে সোমবার এক বৈঠকে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরলেও ট্রাম্প এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

তবে রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগ্রহী। কেউ তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি কথা বলবেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ৪২ মিনিট ভাষণ দিলেও তাতে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ ছিল না। অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি সুচির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।  এই ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।  এরপর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা।  ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।  অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালায় দেশটির সেনাবাহিনী।  সে সময় সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।  এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল।  তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন।  ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

সূত্র: রয়টার্স

গোনিউজ২৪/এমবি
 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর