‘আফগানিস্তান হবে মার্কিন সেনাদের কবরস্থান’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৭, ০৪:২৯ পিএম
‘আফগানিস্তান হবে মার্কিন সেনাদের কবরস্থান’

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নতুন করে আরো কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্তে চটেছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠি তালেবান। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে তারা ‘মার্কিন সেনাদের জীবনের অপচয়’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তান হবে মার্কিন সেনাদের কবরস্থান। ট্রাম্পের নতুন আফগানিস্তান কৌশলকে ‘অস্পষ্ট’ এবং ‘নতুন কিছুই না’ আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন তিনি।

মুজাহিদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার না করে, তবে ২১ শতকের এই সুপার পাওয়ারটির জন্য শিগগিরই আফগানিস্তান আরেকটি কবরস্থানে পরিণত হবে।’

এর আগে মার্কিন কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে দেয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ১৬ বছর ধরে চলা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালীন আফগানিস্তান যুদ্ধের ব্যাপারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসার কথা জানান ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকেই এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলে আসছেন, তিনি অনুধাবন করেছেন যে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করলে সেখানে আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জন্য একটি শূন্যতা তৈরি হবে। অবশ্য দেশটিতে নতুন করে কত সেনা পাঠানো হবে- সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ট্রাম্প।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন করে আফগানিস্তানে আরো চার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এর আগে মার্কিন শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অনুরোধ জানান, আফগানিস্তানে যেন চার হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখোনে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ হাজার হাজার ৪০০ সেনা অবস্থান করছে।

তালেবানের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা যে ধরনের ‘অহংকারী আচরণ’ করেছেন ট্রাম্পও সেই পথেই হাঁটছেন। তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাম্প কেবল মার্কিন সেনাদের জীবন নষ্ট করছেন। কীভাবে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। এ ধরনের আচরণ দিয়ে কিছু পাল্টানো যাবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা এ যুদ্ধ চালাচ্ছি, আমরা ভীত নই। আমরা উজ্জীবিত আছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ করে যাবো।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার্সে হামলার ঘটনা নাইন ইলেভেনের পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অভিযান শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনো আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর