স্পেনের বার্সেলোনায় দ্বিতীয়বার হামলার চেষ্টা ঠেকিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এবারো একই কায়দায় ভ্যান নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরেরবার হামলা চালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়েছে।
স্পেনের পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরক বেল্ট পরে আবারো হামলার চেষ্টা করছিল তারা। এদিকে এসব হামলাকে ‘জিহাদি হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয়।
এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বার্সেলোনা নগরীর লাস রাম্বলাস এলাকায় প্রথমবার পথচারীদের ভেতর একটি ভ্যান ঢুকিয়ে দিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আরো শতাধিক আহত হয়েছে।
ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সংগঠনটির পরিচালিত বার্তাসংস্থা ‘আমাক’ এই তথ্য জানিয়েছে। হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ না করে আমাকের টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্টের একটি বার্তায় বলা হয়েছে, বার্সেলোনা হামলকারীরা ‘ইসলামিক স্টেটের সৈনিক।’
যেসব দেশ মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মিলে ইরাক এবং সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে, সেসব দেশকে লক্ষ্য করে হামলার অংশ হিসেবে বার্সেলোনায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও আইসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
স্পেনীয় পুলিশ জানিয়েছে, ভ্যানের চালক এখনো পলাতক রয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তারা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এখনো শহরটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এর আগেও ইউরোপে একই ধরনের বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে আইএস। বৃহস্পতিবারের ওই সহিংসতাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আগেই মন্তব্য করেছিল স্পেনের পুলিশ।
গত বছর ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে যোগ দিতে আসা মানুষের ভিড়ে ট্রাক উঠিয়ে দিয়ে এক হামলায় নিহত হয়েছিল ৮৬ জন পথচারী। এছাড়া ২০০৪ সালের মার্চে স্পেনের মাদ্রিদ শহরের একটি কমিউটার ট্রেনে ইসলামি জঙ্গিদের পুঁতে রাখা বোমায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৯১ জন।
গো নিউজ২৪/ আরএস