যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু মৃত্যুপুরী


প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৭, ০৬:০৮ পিএম
যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু মৃত্যুপুরী

আইএস মুক্ত হয়েছে ইরাকের মসুল। কিন্তু তারা পিছনে রেখে গেছে ধ্বংসাবশেষ। অনাহারে ঢুকরে ঢুকরে মৃত্যুর মুখে পড়া শিশুদের। যেদিকে চোখ যায় শুধু ধ্বংসাবশেষ। মৃত্যুপুরীর এক আতঙ্ক চারদিকে। তার মাঝে যেসব শিশু বেঁচে আছে তাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। 

এমনই দুই শিশুকে সেসব ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে ইরাকের সেনারা। এর একজন অনাহারে মৃত্যুর প্রহর গুনছিল। অন্যজনকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাংসের টুকরো খেয়েছে। দ্বিতীয় শিশুটির পিতামাতা দু’জনেই জিহাদি। তারা আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছে। 

পৃথিবীতে তাকে ফেলে গেছে একা। এ দুটি শিশুর অনেক ছবি দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হচ্ছে, মসুলের পশ্চিমাঞ্চলে ওল্ড সিটিতে ধ্বংসাবশেষের ভিতর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইরাকি সেনাবাহিনী।

তারা চেষ্টা করছেন জীবি ত কাউকে পাওয়া গেলে তাকে উদ্ধার করতে। এমন অভিযানে তারা ওই দুটি শিশুকে খুঁজে পেয়েছে। তার মধ্যে একজন আমিনা। ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে সেনারা তার কান্নার শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার শুরু করে।

কংক্রিটের আস্তরণ সরিয়ে যখন তাকে উদ্ধার করা হয় তখন তার জীবন সন্ধিক্ষণে। কোনোমতে দম আসছে আর যাচ্ছে। চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে তাকে যখন কিছুটা সুস্থ করে তুলেছে তখন সে বলেছে, তার পিতামাতা দু’জনেই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে।


গো নিউজ২৪/এএইচ

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর