‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনবে’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৭, ০২:৩৫ পিএম
‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনবে’

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা আর আশঙ্কা অনেকদিন ধরেই। অনেক জোতিষী এ নিয়ে অসংখ্যবার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এই তালিকায় সর্বশেষ এবার যুক্ত হলেন চীনা ধনকুবের ও ই-কমার্স ব্যবসায়ী জ্যাক মা।

আমাদের পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আলিবাবার এই চেয়ারম্যান জানান, প্রযুক্তির উন্নয়নই পৃথিবীর শেষ ডেকে আনবে। প্রযুক্তির চাপে চাকরির বাজারে নেমে আসবে তীব্র মন্দা। ফলে শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর তখনই হবে পৃথিবীর অন্তিম লগ্ন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক মা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবটের জন্য চাকরি হারাতে পারে বহু মানুষ। তাই বিশ্বনেতাদের উচিত, এখনই মানুষকে সে বিষয়ে সচেতন করা এবং তাদের দুঃখ ভাগ করে নেয়া। প্রযুক্তির জোয়ারই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল। দ্বিতীয়বার প্রযুক্তির বিপ্লব ডেকে এনেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই তৃতীয় প্রযুক্তিগত বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে।’

তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন, রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। শুনতে অনেকটা সিনেমার মতো মনে হলেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জ্যাকসহ অন্য শিল্পপতি ও গবেষকরা।

জ্যাক মা

চীনা এই ধনকুবের আরও বলেন, ‘আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই, তাহলে সমস্যা হতে পারে।’ অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারলে মানুষের প্রচুর সময় বাঁচবে বলেও মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মানুষ আরও কম সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ফেলতে পারবে।

আগামী ৩০ বছরে পৃথিবীর কর্মসংস্কৃতি আমূল বদলে যাবে বলেও ধারণা জ্যাকের। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানুষ দিনে চার ঘণ্টার বেশি কাজ করবে না। হতে পারে একটি সপ্তাহে চারটি করে দিন থাকবে।’ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে যথেষ্ট যুক্তিও দেখিয়েছেন তিনি।

বলেন, ‘দেখুন আমার দাদু প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা করে কাজ করতেন ও ব্যস্ত থাকতেন। সেখানে আমরা দিনে ৮ ঘন্টা করে কাজ করি, তাও সপ্তাহে পাঁচদিন। এতেই ভাবি, আমরা বড্ড ব্যস্ত।’ তবে মেশিনকে মানুষের জায়গায় স্থান দেয়ার যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তা তিনি খুব একটা পছন্দ করেন না বলেও জানিয়েছেন এশিয়ার ধনীতম মানুষটি। এর আগে এপ্রিল মাসেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ইন্টারনেটের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর