কাতার ইস্যুতে সৌদি বাদশা ও যুবরাজের সঙ্গে এরদোয়ানের ফোনালাপ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৭, ০৩:০৮ পিএম
কাতার ইস্যুতে সৌদি বাদশা ও যুবরাজের সঙ্গে এরদোয়ানের ফোনালাপ

কাতার সংকট ইস্যুতে সৌদি আরবের বাদশা সালমান এবং নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। চলমান ওই সংকট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করতে তারা ঐকমত্য পোষণ করেছেন বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় সৌদি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এরদোয়ান। এরদোয়ানের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাতারকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যে সহায়তা জোরদার করতে একমত হয়েছেন তারা।’

টেলিফোনে নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার পদোন্নতির জন্য অভিনন্দন জানান। এসময় তুর্কি-সৌদি সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই দেশের নেতারা। তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী মাসে জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনে মুখোমুখি বৈঠকের ব্যাপারেও একমত হয়েছেন এরদোয়ান ও বাদশা সালমান।

এর আগে নিজের ৩১ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে উত্তরসূরি হিসেবে যুবরাজের চেয়ারে বসিয়ে সৌদি আরবের প্রশাসন ব্যবস্থায় নাটকীয় পরিবর্তন আনেন দেশটির বাদশা সালমান। এক রাতের সিদ্ধান্তে ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স বা যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দেন ৮১ বছর বয়সী এই বাদশা। নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদকে একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেও তার দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে।

গত ৫ জুন মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কিছু সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। যদিও আরব রাষ্ট্রগুলোর অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে দোহা। ওইসব দেশের বক্তব্য, ব্রাদারহুড ‘চরমপন্থি’ সংগঠন। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে।

এর প্রেক্ষাপটে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ককে আরও গভীর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, কাতারের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে’ সমর্থন দেয়ার অভিযোগ যদি সত্যিই হতো তবে তিনি তাতে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করতেন। এছাড়া কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার পরপরই দেশটিতে নির্মিত তুর্কি সেনাঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের অনুমোদ দেয় তাদের পার্লামেন্ট।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর