মিসরে খ্রিস্টানদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৭, ০৪:১৪ পিএম
মিসরে খ্রিস্টানদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে হামাস

মিসরে কপ্টিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী দেশটির ইসলামি আন্দোলন হামাস। হামলার পরপরই এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মুখপাত্র ফাওজি বারহুম এই নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, মিসরের কপ্টিক সম্প্রদায়ের এই কুখ্যাত হামলা তীব্রভাবে নিন্দাযোগ্য। মিসরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে ও দেশটিতে জাতিবিদ্বেষ উস্কে দিতেই এই হামলা করা হয়েছে।

বারহুম আরো বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে শুধু মিসরের শত্রুরাই লাভবান হবে এবং বিশ্বের শত্রুরাও লাভবান হবে।’

এর আগে শুক্রবার (২৬ মে) মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিনা প্রদেশে কপ্টিক খ্রিস্টানদের বাহনকারী একটি বাসে বন্দুকধারীদের এক হামলায় ২৯ জন নিহত হয়। ওই ঘটনায় এখনো কেউ দায় স্বীকার করেনি। বাসটি একটি গির্জার দিকে যাচ্ছিল।

হামলার পর টেলিভিশনে দেয়া এক বার্তায় সিসি বলেন, সন্ত্রাসী শিবিরে হামলায় তিনি কোনো দ্বিধা করবেন না। সন্ত্রাসীদের এই হামলা মিসরীয়দের বিভক্ত করতে পারবে না। দেশকে রক্ষা করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার প্রত্যয়ও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘মিসরের অর্থনীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও সক্ষম থাকবো।’ এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও সহায়তা চান সিসি।

হামলার জবাবে মিসরীয় বিমানবাহিনী লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি ‘জিহাদি শিবির’ লক্ষ্য করে এ পর্যন্ত দুই দফা হামলা চালিয়েছে। ওইসব প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জঙ্গিরা হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে করে মিসরীয় সামরিক বাহিনী।

প্রসঙ্গত, মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ খ্রিস্টান। সম্প্রতি দেশটির সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়টির ওপর বেশকিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত এপ্রিলে পাম সানডে উপলক্ষে তান্তা এবং আলেকাজান্দ্রিয়াতে দুটি আলাদা হামলায় কয়েক ডজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নিহত হয়। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে কায়রোর সবচেয়ে বড় কপ্টিক গির্জায় হামলার ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৪৯ জন আহত হয়। এদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও ছিল।

গো নিউজ২৪/ আরএস

এ সম্পর্কিত আরও সংবাদ


আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর