অনশন ভাঙলেন ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৭, ০১:২৩ পিএম
অনশন ভাঙলেন ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিরা

কারাগারে মানবেতর অবস্থার প্রতিবাদে ৪০ দিনের এক গণ-অনশন শেষ করল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

ইসরায়েলি কমকর্তারা জানান, প্রতি মাসে বন্দিদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দুইবার সাক্ষাৎ করতে দেয়া হবে- এমন শর্তে পবিত্র রমজানের শুরুতে অনশন ভাঙতে রাজি হয়েছেন তারা। আগে মাসে একবার পারিবারিক সাক্ষাতের ব্যবস্থা ছিল।

এর আগে ১৭ এপ্রিল ‘ফিলিস্তিনি কারাবন্দি দিবস’ থেকে মারওয়ান বার্গুতি নামে এক রাজবন্দির নেতৃত্বে অনশনে যায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দিরা দেশটির বাসিন্দারা। মৌলিক অধিকারের দাবিতে ও ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে মানবিক সঙ্কটের প্রতিবাদেই এই গণ-অনশন শুরু করে তারা।

তখন অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দিদের ব্যাপারে ইসরায়েল দেশটি আলোচনায় সম্মত না হলে নতুন করে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন বা ‘নতুন ইন্তিফাদা’র ডাক দেয়ার হুমকি দিয়েছিল ফিলিস্তিনি নেতারা।

জেরুজালেমভিত্তিক কারাবন্দিদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘আদামির’ তথ্য মতে, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। এর মধ্যে ৫০০ জন প্রশাসনিক বন্দি। কারাগারে অনেক বন্দিকেই যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় না বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসার জন্য অর্থ দিতে হয় তাদের। অনেক সময় অসুস্থ বন্দিদের দেয়া হয় না পানি।

প্যালেস্টেনিয়ান সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য মতে, ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের কারাগারে ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছে। অনেককেই অস্ত্রোপচারের জন্য চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

কারাবন্দিদের দাবির মধ্যে ছিল, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ দেয়া, মাসে দুইবার পরিবারের সদস্যদের দেখা করার সুযোগ পুনর্বহাল করা, পরিবারের দ্বিতীয় পর্যায়ের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া, সাক্ষাতের সময় বাড়ানো এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তুলতে দেয়া।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর