ভালোবেসে রেল স্টেশনকে বিয়ে করেছেন নারী!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৭, ০২:০০ পিএম
ভালোবেসে রেল স্টেশনকে বিয়ে করেছেন নারী!

বিয়ে নিয়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতির মধ্যে আছে নানা রকম অনেক প্রথা। মানুষ ব্যতিত অন্য প্রজাতির প্রাণিকে বিয়ে করার দৃষ্টান্তও আছে। সম্প্রতি পাত্রী না পেয়ে রোবটকে বিয়ে করেছেন এক জাপানি প্রকৌশলী। তবে এদের সবার থেকে আলাদা ক্যারল সান্টা ফে’র বিয়ের গল্পটা। ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেছেন আস্ত একটি রেল স্টেশনকে!

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, নয় বছর বয়সে রেল স্টেশনটির প্রেমে পড়েন ক্যারল। আর তাদের এই প্রণয় পরিণতির দিকে যায় ২০১১ সালে। স্টেশনটি দিয়ে দিনে যাতায়াত করে ২ হাজারের বেশি যাত্রী। ক্যারলের দাবি, সান্টা ফে নামের ওই রেল স্টেশনের দুই দেয়ালের সংযোগস্থলের সঙ্গে তার মধুচন্দ্রিমাও হয়েছে।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে নিয়ম মেনেই ক্যারল বিয়ে করেছেন সান দিয়েগো শহরের সান্টা ফে স্টেশনটিকে। পরে ‘স্বামী’র পদবীর সঙ্গে মিলিয়ে নিজের নামও পাল্টেছেন।

ক্যারলের ভাষায়, ‘মাত্র নয় বছর বয়সেই আমার এই স্টেশনকে ভাল লাগতে শুরু করে। ছোটবেলায় যখন এই স্টেশনের দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়াতাম, তখনই মনে হতো এটি যেন আমার অভিভাবক, প্রকৃত বন্ধু।’ এই স্টেশনে আসলে শরীরে যৌনাকাঙ্খা জাগে বলেও দাবি এই নারীর। নগ্ন হওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় পোশাক পরেই তিনি স্টেশনের দেয়াল ছুঁয়ে থাকেন উত্তাপ বিনিময় করতে।

তবে এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের ভালবাসা অদ্ভুত হলেও নজিরবিহীন নয় বলে জানিয়েছেন তারা। কোনো বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার এই প্রবণতাকে মনোবিজ্ঞানীরা বলেন ‘অবজেক্টোফিলিয়া’। এটি এক ধরনের রোগ। ২০০৯ সালে প্রথম এই রোগের সন্ধান পান মার্কিন গবেষকরা। এটা আসলে এক ধরনের অটিজম। এর আগে ২০০৭ সালে এরিকা আইফেল নামের এক নারী দাবি করেন, তিনি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারকে বিয়ে করেছেন।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর