উত্তর কোরিয়ার বিমানে যাত্রীদের কী খেতে দেয়া হয়, জানেন?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৭, ১১:০১ এএম
উত্তর কোরিয়ার বিমানে যাত্রীদের কী খেতে দেয়া হয়, জানেন?

বিশ্বব্যাপী এমনিতেই প্রচলিত আছে, কোরিয়ানরা যা খায় অন্যরা সাধারণত তা খেতে পারেন না।  তাদের খাবার-দাবার অন্যদের থেকে আলাদা।  তবে উত্তর কোরিয়ার বিমানের খাবার এতোটা যে ভয়াবহ হতে পারে তা হয়ত আপনি জানেন না। আপনি যদি উত্তর কোরিয়ার সরকারি বিমান সংস্থার বিমানে চাপেন, তাহলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যেন আপনার খিদে না পায়! এমনটাই বলছেন একাধিক দেশের যাত্রীরা। কারণটা আর কিছুই নয়, ওই বিমানের খাবার। একাধিক খাদ্যপ্রেমী উত্তর কোরিয়ার বিমানে পরিবেশিত খাবারকে বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্য খাবার বলে মন্তব্য করেছেন। আর এই ইস্যুতেই এখন সরগরম নেটদুনিয়া।

কোনও এক রহস্যময় প্রাণির মাংস, একটুকরো চিজ ও একটিমাত্রই লেটুস পাতা সমৃদ্ধ ওই বার্গার এতটাই বিস্বাদ যে মুখে তোলা যায় না, বলছেন যাত্রীরা! উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে বেইজিংগামী বিমানের এক যাত্রী সেই খাবারের ছবিও টুইট করেছেন। আর এক যাত্রী লিখেছেন, রহস্যময় মাংসের ঐতিহাসিক মিট বার্গার (আমার মনে হয় শূকরের মাংস)। এয়ার কোরীয়তে পরিবেশিত একমাত্র খাবার।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে ‘কোরীয় বার্গার’। অনেকে এই অভিযোগও করেছেন যে ওই খাবার একেবারে ঠান্ডা সার্ভ করা হয়। ফলে মুখে তোলার যোগ্যও থাকে না।

এক চিনা যাত্রী সম্প্রতি ওই খাবার সম্পর্কে লিখেছেন, “বার্গারটি যত রহস্যময়, তার ভিতরের সসটুকুও ততটাই রহস্যে মোড়া। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, সসটি এতটাই পাতলা যে  সেটা রক্ত নয়, এটুকু অন্তত বোঝা যায়। বার্গারটি বোধহয় ফ্রিজ থেকে বার করে দেওয়া হয়। বরফের মতো ঠান্ডা।

বোঝাই যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ভিতরে যত রহস্য রয়েছে, সে দেশের সরকারি বিমান সংস্থার পরিবেশিত বার্গারও ততটাই রহস্যে মোড়া।


গো নিউজ২৪/এএইচ

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর