বিশ্বের প্রভাবশালী ১ নারীর কথা


প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০১৭, ০৩:০৬ পিএম
বিশ্বের প্রভাবশালী ১ নারীর কথা

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের উদ্ভট আচার-আচরণ থেকে শুরু করে তাঁর রকেট পরীক্ষা অবধি অনেক কিছু শোনা যায়৷ কিন্তু তাঁর পারিবারিক জীবন সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখে আন্তর্জাতিক মিডিয়া৷ কিন্তু তাঁর পারিবারিক জীবন, বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে সারা বিশ্বে যত না আগ্রহ, তার চেয়ে অনেক কম খবরাখবর পাওয়া যায়৷

কে এই মহিলা?
২০১১ সালে কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন কিম জং-উন৷ তার এক বছর পরে বিভিন্ন আলোকচিত্রে তাঁকে এক মহিলার সঙ্গে দেখা যেতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, কে এই মহিলা?

২০১২ সালের ২৫শে জুলাই তারিখে উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া জানায় যে, কিমের সঙ্গিনী হলেন তাঁর পত্নী ও কমরেড রি বা লি সোল-জু৷ ২০০৯ সালে উভয়ের বিবাহ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়৷

রি সোল-জু গায়িকা ছিলেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার খবর অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-ইল তাঁর স্ট্রোক হওয়ার পর ২০০৮ সালে কিম জং-উন আর রি সোল-জুর বিয়ের ব্যবস্থা করেন৷

আট মাস গায়েব
২০১৬ সালে প্রায় আট মাস ধরে রি সোল-জুকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি৷ কিম নিজের পিসেমশাই সহ একাধিক নিকটাত্মীয়কে মৃত্যুমুখে পাঠিয়েছেন; কাজেই এ সময় গুজব শুরু হয় যে, কিম হয়ত তাঁর নিজের পত্নীকেও ‘সরিয়ে দিয়েছেন’৷

আবার একটি ছবি প্রমাণ করে যে, রি সোল-জু বেঁচেই আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছেন৷ উত্তর কোরীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমানের একটি মহড়া উপলক্ষ্যে কিম ও তাঁর স্ত্রীকে আবার জনসমক্ষে দেখা যায়৷

এর আগে ২০১২ সালেও রি সোল-জু হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন৷ পরে মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ডেনিস রডম্যান জানান যে, রি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন৷ রডম্যান ২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে কিমের সঙ্গে মিলিত হন৷

উত্তর কোরিয়াকে দুনিয়ার সবচেয়ে গোপন রাষ্ট্র বলে গণ্য করা হয়৷ কিম জং-উনের নিজের জীবন সম্পর্কেও বহির্বিশ্বে ঔৎসুক্যের শেষ নেই৷ কিন্তু সেই কৌতূহল মেটানোর কোনো পন্থা নেই – মাঝেমধ্যে যেটুকু খবর পাওয়া যায়, সেটুকু ছাড়া৷

উত্তর কোরিয়ার নেতা হওয়ার আগে কিম জং-উন সুইজারল্যান্ডে পড়াশুনো করেছেন৷ মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি দেশ চালানোর দায়িত্ব নেন৷

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর