ধর্ষণের বিচার পেতে ফেসবুকের সাহায্য নিলেন তরুণী


প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৬, ০৪:০৫ পিএম
ধর্ষণের বিচার পেতে ফেসবুকের সাহায্য নিলেন তরুণী

ধর্ষণের সুবিচার পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশ কর্মীদের হাসির খোরাক হতে হয়েছে। এবার তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-কেই প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরলেন তরুণী। নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন ফেসবুকে। ভাইরাল হওয়া এই পোস্টটি এতই শোরগোল ফেলে দেয় যে শেষে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

কেরলের এই ঘটনা সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। কেরলের জনপ্রিয় ডাবিং আর্টিস্ট ভাগ্যলক্ষ্মীর ফেসবুক পেজে নিজের গণধর্ষণের বিভত্‍স অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ওই তরুণী। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ভাগ্যলক্ষ্মী জানিয়েছেন যে কেরলের ত্রিুশুরের বাসিন্দা ওই তরুণী সপ্তাহ তিনেক আগে নিজের স্বামীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে আসেন। বছর দুয়েক আগের সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা ভাগ্যলক্ষ্মীকে জানান তিনি। তিনি জানান যে বছর দুয়েক আগে তাঁর স্বামীর চার বন্ধু তাঁকে গণধর্ষণ করেন। ধর্ষকদের মধ্যে একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদ রয়েছেন। এই ঘটনার পর তিনি মানসিক ভাবে এতই ভেঙে পড়েছিলেন যে এমনকি নিজের স্বামীকেও কিছু জানাতে পারেননি।

প্রায় মাস তিনেক পরে কিছুটা সাহস জুগিয়ে পুলিশের কাছে যান তিনি। কিন্তু অভিযোগ নেওয়া তো দূরের কথা, পুলিশ অফিসারদের কাছে রীতিমত হাসির খোরাক হতে হয় তাঁকে। মানসিক ভাবে আরও ভেঙে পড়েন তিনি। ভাগ্যলক্ষ্মীই মেয়েটিকে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক ধরে কাউন্সেলিং করে বলে জানান। তাঁর অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফেসবুকে এই ঘটনার কথা জানানোর প্রস্তাব দেন ভাগ্যলক্ষ্মী। মেয়েটি রাজি হলে ভাগ্যলক্ষ্মীরই ফেসবুক পেজেই গোটা ঘটনা আপলোড করা হয়। পোস্টটি নিয়ে এত হইচই পড়ে যায় যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিন্নারাই বিজয়নের বিশেষ সচিব প্রভা ভার্মা এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন।

গো নিউজ২৪/টবি 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর