যেখানে মুদি দোকানে যেতেও পাড়ি দিতে হয় ৪০০ মাইল!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ১২:৩৭ পিএম
যেখানে মুদি দোকানে যেতেও পাড়ি দিতে হয় ৪০০ মাইল!

পাহাড়ি অঞ্চলে যারা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করেন, তারা স্বাভাবিকভাবেই লোকালয়ে যেতে বেশ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন। সামান্য জিনিসটিও যেখানে আমরা ৫ মিনিটের মধ্যে হাতের নাগালে পেয়ে যাই, সেখানে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে তা সংগ্রহ করেন।

ঠিক তেমনই বিশ্বের এমন এক স্থান আছে, যেখানকার বাসিন্দারা এতোটাই বিচ্ছিন্ন যে মুদি দোকানে যেতেও তাদের পাড়ি দিতে হয় ৪০০ মাইল বা ৬০০ কিলোমিটার পথ। যেখানে গাড়িতে যেতেও সময় লাগে দুদিন।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, কানাডার ইউকনের ঘটনা এটি। সেখানে গুটিকয়েক বাসিন্দার বাস। সিনিড মেডার নামক এক নিউট্রিশন কোচ বসবাস করেন ইউকনেই।

মুদি দোকানে যেতেও পাড়ি দিতে হয় ৪০০ মাইল!

তিনি গ্রসারি আইটেম কেনার জন্য ৭-৮ সপ্তাহ পরপরই পাড়ি দেন ৫৪৪ কিলোমিটার দূরের গ্রসারি শপে। তার বাসস্থানের সব চেয়ে কাছের মুদির দোকান এটিই।

এই যাত্রাপথে নেই কোনো টেলিকম সার্ভিস। গাড়ি খারাপ হলে কিংবা বিপদ ঘটলেও কাউকে খবর দেওয়ার উপায় নেই। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে হবে।

এ পথের আবহাওয়া আরও বিপজ্জনক করে তোলে। শীতকালে এই পথের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেখানকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী কিনতে হলে এই পথ অতিক্রম করতেই হবে।

মুদি দোকানে যেতেও পাড়ি দিতে হয় ৪০০ মাইল!

সম্প্রতি সিনিডের এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মুদিখানার জিনিসপত্র কেনার জন্য তাকে কীভাবে দু’দিন ধরে যাত্রাপথের ভয়ঙ্কর পরিবেশের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।

৭-৮ সপ্তাহ পরপর সিনিড যখন গ্রসারি শপে আসেন তখন একসঙ্গে এক হাজার ডলারের জিনিসপত্র কেনাকাটা করে নেন। সিনিড জানান, তিনি ক্যানড ও ফ্রোজেন ফুডই বেশি কেনেন।

কারণ তিনি যেখানে থাকেন সেখানকার আবহাওয়ায় তাজা শাকসবজি বা ফলমূল বেশিদিন ভালো থাকে না। চরম প্রতিকূল পরিবেশে বসবাস করেন কানাডার ইউকনের বাসিন্দারা।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডট ইউকে

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর