স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এফআই মানিক, পাশে দাঁড়ালেন অনন্ত


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭, ১১:৩৭ এএম
স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এফআই মানিক, পাশে দাঁড়ালেন অনন্ত

নামী চলচ্চিত্র নির্মাতা, যার হাত ধরে বহু তারকা উঠে এসে এই ঢাকাতেই অট্টালিকা গড়েছেন, চালান দামি গাড়ি অথচ সেই নেপথ্যের মানুষটি আজ নিজের স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে অন্যের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যের সহায়তার জন্য নিভৃতে ঘুরছেন।

এমনটাই জানালেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। যে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিও কিছু করতে পারে নি তার জন্য? এমন প্রশ্ন জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে।
অনন্ত জলিল বলেন, বন্ধুগণ আজ দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কিছু কথা বলবো। অতি কষ্টের সাথে বলতে হচ্ছে, আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের গুণী পরিচালক এফ আই মানিক ভাই, যিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক মহাসচিব ও বহু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য পরিচালক। আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য, চলচ্চিত্রের দর্শক সহ সকলের জন্য যিনি এতো কিছু করেছেন তাকেই আজ অর্থ কষ্টে ভুগতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই স্বনামধন্য পরিচালক অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না। যদিও তা আমি জানতাম না, কিন্তু গতকাল হঠাৎ তিনি আমার অফিসে এসে উপস্থিত হন। সে সময় আমি অফিসে উপস্থিত না থাকায় তাকে বেশ সময় অপেক্ষা করতে হয়, যা আমার জন্য ব্যর্থতা। কারণ আমার জন্য এতো বড় মাপের পরিচালককে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যখন উনার মুখোমুখি হই, তখন তার চেহারা বেশ মলিন ছিলো। তিনি আমাকে তার কষ্টের কথার সাথে, অর্থের অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না সে কথা বলেন। তার কথা শুনে আমি বেশ আশাহত হই, তার মত গুণী পরিচালককে অর্থের অভাবের কারণে আজ দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। যার হাত ধরেই অনেক তারকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যদিও এই গুণী পরিচালকের সাথে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি।

এই চিত্রনায়ক বলেন, তবুও এ বিখ্যাত পরিচালক আমার কাছে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাবেন, তা হবে অনন্ত জলিলের অন্যতম ব্যর্থতা। তাই আমার যতটুকু সামর্থ ততটুকু দিয়ে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এবং আশাও করি যে প্রতিষ্ঠিত তারকা এবং চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যসহ অন্যরাও এফ আই মানিক ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।

সবাইকে এই নির্মাতার পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে অনন্ত বলেন, এটা সাহায্য বললেও ভুল হবে, এটা আমাদের কর্তব্য। সাথে আশাকরি তার মতো কোনও গুণীজনকে যেন দ্বারে দ্বারে যেতে না হয়, আমরাই যেনো তাদের প্রয়োজনে তাদের কাছে পৌঁছে যাই।কালের কণ্ঠ   

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর