তৃতীয় স্ত্রীর সহায়তায় চতুর্থকে মেরে আশ্রয় নেন দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায়


সংবাদ পত্রের পাতা থেকে প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম
তৃতীয় স্ত্রীর সহায়তায় চতুর্থকে মেরে আশ্রয় নেন দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায়

চতুর্থ স্ত্রীর চালচলন নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী সোহাইল আহমেদ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঝগড়ার জের ধরেই তৃতীয় স্ত্রীর সহায়তায় একসময় চতূর্থ স্ত্রীকে হত্যা করেন সোহাইল। এরপর বিভিন্ন স্থানে কিছু দিন অবস্থান করে চলে যান দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায়। চট্টগ্রামে দেড় বছর আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত লাকী আক্তার পিংকীর স্বামী সোহাইল আহমদকে (৪০) বাগেরহাট থেকে গ্রেফতার করেছে নগরীর হালিশহর থানা পুলিশ। এ হত্যা মামলায় সোহাইল ছাড়া তার তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা আক্তারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, গত বছরের ২১ জুলাই হালিশহরের রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন হালিশহর থানার মামলা করেন ভবনের কেয়ারটেকার নূর নবী। মামলার তদন্তে বাসা ভাড়া নেয়ার সময় ওই নারীর স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ছাড়া আর কোনো ক্লুই ছিল না পুলিশের হাতে। এক বছরের বেশি সময় তদন্তের পর নিহতের স্বামী সোহাইলকে শনাক্ত করে সম্প্রতি খুলনার বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের পর মেলে নিহত নারীর পরিচয়।
 
সোহাইল পুলিশকে জানিয়েছেন, নিহতের নাম লাকী আক্তার পিংকি। তার ডাকনাম আফসানা। তিনি দক্ষিণ পতেঙ্গার ডুরিয়া পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে। ২৫ বছরের আফসানা তার চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। আফসানার চলাচল নিয়ে সোহাইলের সন্দেহ ছিল। এসব নিয়ে প্রায়ই তার সঙ্গে ঝগড়া হতো। এর জের ধরেই তৃতীয় স্ত্রী নাহিদার সহায়তায় তিনি আফসানাকে হত্যা করেন।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোহাইল ও আফসানা একই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করে তারা হালিশহরের ভাড়া বাসায় থাকা শুরু করেন। আফসানাকে হত্যার পর সোহাইল কিছু দিন নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে থাকেন। পরে বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমার কাছে চলে যান। সেখানেই এত দিন অবস্থান করছিলেন তিনি।

এ হত্যায় সোহাইলের তৃতীয় স্ত্রী নাহিদার সম্পৃক্ততা মিলেছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আফসানার পরিচয় শুধু সোহাইল আর নাহিদা জানত। আর আফসানার মরদেহ উদ্ধারের সময় তাতে পচন ধরে যাওয়ায় তখন পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সোহাইল স্থান পরিবর্তন করে বাগেরহাটে গেলেও হত্যায় যুক্ত নাহিদা পতেঙ্গায় থেকে যান। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমার সংশ্লিষ্টতা মেলেনি।


 

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর