সরকারি চাকরিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পদের পার্থক্য কী?


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২০, ১০:৩৬ এএম
সরকারি চাকরিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পদের পার্থক্য কী?

সরকারি চাকরিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী (রাজস্ব) কি ব্যাখ্যা জানতে চায় অনেক নতুন চাকরি প্রত্যাশীরা। সাথে পুরাতন বা চাকরিরত আছেন তারও অনেকেই অস্থায়ী পদটি সম্পর্কে অবগত নয়। আজ এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। রাজস্ব পদে চাকরির বিজ্ঞাপনে মাঝে মাঝে স্থায়ী ও অস্থায়ী পদ লেখা থাকে, আসলে এই দুটির মধ্যে কোনো পার্থক্য কতটুকু সেটিই জানার বিষয়।

যখন কোনো একটা মন্ত্রনালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর ইত্যাদি চালু করা হয়, তখনই ঐ দপ্তরে কতটি পদ থাকবে, কোন পদে কতজন লোক নিবে সেগুলো নির্ধারণ করা হয়! অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি সময়ই সে প্রতিষ্ঠানের জনবলের একটি জনবল কাঠামো বা অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করা হয় সেগুলি হচ্ছে স্থায়ী পদ।

কিন্তু কোনো কোনো দপ্তরে পরবর্তীতে কাজের বাড়তি চাপের জন্য অধিক সংখ্যক লোকের প্রয়োজন পড়ে, আর সেই অতিরিক্ত লোক নেয়ার জন্য যে পদগুলো নতুন করে সৃষ্টি করা হয়, সেগুলোই মূলতঃ অস্থায়ী পদ! 

সুতরাং রাজস্ব চাকরির ক্ষেত্রে স্থায়ী আর অস্থায়ী পদ বলতে উভয়কেই স্থায়ী পদই বুঝায়! অর্থাৎ চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসরে যাওয়া পর্যন্ত একই পদের স্থায়ী/অস্থায়ী লোক সমান সুবিধা পাবেন!

পেনশন সুবিধার ক্ষেত্রে কোন রকম তারতম্য হয় না। দুটি ক্ষেত্রে প্রথমে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হয় এবং পরবর্তীতে স্থায়ীকরণ বা নিয়মিতকরণ করা হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অস্থায়ী পদগুলো নিয়মিতকরণ করার পর প্রতি বছরই উক্তপদগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। একজন স্থায়ী ও অস্থায়ী রাজস্বপদগুলোর জন্য আলাদা বেতন বিল তৈরি করা হয়।

অস্থায়ীপদগুলো সৃষ্টির একটি প্রেক্ষপট হিসাবে একটি উদাহরণ তুলে ধরছি, ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন লোকবল দৈনিক ভিত্তিক, ওয়ার্কচার্জড বা মাস্টাররোল ইত্যাদির বেসিসে নিয়োগ করে সাময়িক কাজ সম্পন্ন করা হয়। এটি যদি ৫-১৫ বছর পর পর্যন্ত চলতে থাকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনের তাগিদেও উক্ত জনবলগুলোকে অস্থায়ী পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগদান বা নিয়মিতকরণ করে থাকে।

মাসিক পেনশন সুবিধা, আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি, লাম্পগ্র্যান্ট, অর্জিত ছুটি ও  অন্যান্য সকল সুবিধা স্থায়ী পদের মতোই অস্থায়ীপদগুলো ভোগ করে থাকে।

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর