যৌনকর্মীদের জানাজা আর পড়াবেন না দৌলতদিয়ার সেই ইমাম


নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৭:১৩ পিএম
যৌনকর্মীদের জানাজা আর পড়াবেন না দৌলতদিয়ার সেই ইমাম

প্রথা ভেঙে দৌলতদিয়ার এক যৌনকর্মীর জানাজা পড়ালেও আর তা করবেন না বলে জানিয়েছেন ওই মসজিদের ইমাম।  তিনি বলছেন, তিনি ভবিষ্যতে আর কখনো কোনো যৌনকর্মীর জানাজা পড়াবেন না।

দৌলতদিয়া রেলস্টেশন মসজিদের ইমাম গোলাম মোস্তফা বিবিসিকে বলেন, হামিদা বেগমের জানাজা পড়ানোর পর তিনি স্থানীয়ভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

তিনি বলেন, ওই জানাজা পড়াতে তিনি রাজি ছিলেন না, স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি পড়িয়েছিলেন। 

তিনি বলেন, এইখানে তো সমালোচনা হচ্ছে। গ্রামের লোক, দোকানদার সবাই আমার সমালোচনা করছে। এতোদিন জানাজা হয় নাই, আমি কেন হঠাৎ করে জানাজা পড়াইলাম? ভবিষ্যতে আর জানাজা পড়ানোর নিয়ত নাই। বিভিন্ন আলেমের সঙ্গেও কথা বলছি। তারাও নিষেধ করছে। পল্লীর লোকেরা অন্য কাউকে দিয়ে জানাজা, দাফন করাইতে পারে। কিন্তু আমাকে পাবে না।

দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীরা আশাবাদি যে, হামিদা বেগমের জানাজার পর সেটা হয়তো যৌনকর্মীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে কাজে দেবে।

যৌনপল্লীর পাশেই দৌলতদিয়া রেল স্টেশন। সেখানে হামিদুল ইসলাম নামে একজন জানান, যৌনকর্মীর পেশাটাই যেখানে ধর্ম সমর্থন করে না সেখানে সারাজীবন সেই পেশায় থেকে শেষ সময়ে ধর্মের দরকার কী?

তিনি বলেন, ওইখানে তো অন্য মানুষজন থাকে। ওইটা তো আলাদা জায়গা। পতিতালয়। সেইখানে ধর্মীয়ভাবে জানাজা হয় কিভাবে? 

মনির হোসেন নামে আরেকজন বেশ ক্ষিপ্ত। তার ক্ষোভ ইমাম সাহেব কেন জানাজা পড়ালেন সেটা নিয়ে।

তিনি বলছেন, হুজুর তো আগে আমাদের সমাজ থেকেই মত গঠন করবে। জানাজায় নেয়া যাবে কি-না, সেইটা তো গ্রামের লোক বসে পদ্ধতি ঠিক করবে। তারপরে সে আমাদের মর্জি নিয়ে সেখানে যাবে। তাকে তো ইমামের দায়িত্বে রাখছি আমরা। সে একা একাই কেন গেল?

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর