কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় নতুন মোড়


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম
কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় নতুন মোড়

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি এবং লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হন গত ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে। ঘটনার পর ১৭ আগস্ট গাড়ি চালক আরসালান পারভেজকে (২২) গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার থানা পুলিশ। তার বাবা কলকাতার একটি অভিজাত বিরিয়ানি শপের মালিক।

নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন- কাজী মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)। এসময় আহত হন আরও এক বাংলাদেশিসহ তিন জন।

তবে দুর্ঘটনার ৫ দিন পর এ ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। এতদিন যাকে দুর্ঘটনায় দায়ী মনে করা হচ্ছিল ( আর্সালান পারভেজ) আসলে তিনি নন, ওই সময় জাগুয়ারের চালকের আসনে ছিলেন তারই বড় ভাই রাগিব পারভেজ। 

বুধবার (২১ আগস্ট) রাগিব পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বড় ভাইকে বাঁচাতেই পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছিলেন আরসালান। দুর্ঘটনার সময় নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন দাবি করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

আরসালানের বড় ভাই রাগিব পারভেজ (২৫) দুর্ঘটনার পরপরই দুবাই পালিয়ে যান। বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে দুর্ঘটনায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। বুধবার (২১ আগস্ট) কলকাতায় ফিরে আসলে একটি নার্সিংহোম থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

পুলিশ জানায়, আত্মসমর্পণকারী আরসালানের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। দুর্ঘটনায় এয়ারব্যাগ খুলে গেলে চালকের মুখে এর প্রভাব পড়ে, যাকে সিলিকন বাইট বা এয়ারব্যাগ স্ক্র্যাপ বলা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষাতে আরসালানের শরীরে এধরনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি তিনি নয়, অন্য কেউ চালাচ্ছিলেন।

ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় দুই ভাইয়ের সঙ্গে তাদের চাচাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের বাসিন্দা মইনুল একটি মোবাইল অপারেটরে চাকরি করতেন। আর কুষ্টিয়ার বাসিন্দা তানিয়া একটি ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে চাকরিরত ছিলেন। ১৮ আগস্ট তাদের মরদেহ দেশে এনে দাফন করা হয়।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর