বিচার হবে বিচারপতির


মিজানুর রহমান প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম
বিচার হবে বিচারপতির

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামে হস্তান্তর দেখিয়ে আত্মসাৎ ও অর্থ পাচার করা হয়। এমন এক অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এত দিন সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করলেও বুধবার মামলা করার মাধ্যমে সেই ব্যক্তির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল সংস্থাটি। সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা।

বুধবার দুদকের সমন্বিত কার্যালয়-১-এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এস কে সিনহা ছাড়াও এই মামলায় আরো দশজনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্য আসামিরা হলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, ব্যাংকটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, এস কে সিনহার কথিত পিএস রণজিৎ চন্দ্র সাহা, রঞ্জিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায় (সিমি), টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

মামলার বিষয়ে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কথা বলেন সংস্থাটির সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। সাবেক প্রধান বিচারপতি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাকে দেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের আইনে সব ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে দুদকের অনুসন্ধানে ফারমার্স ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। মামলার আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন ওই ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের সেই টাকা পরে বিচারপতি সিনহার ব্যাংক হিসাবে যায়। টাকার উৎস হিসেবে বাড়ি বিক্রির কথা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ই অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধান এই বিচারপতি। এরপর সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন সিনহা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে ইচ্ছেমতো বসবাস ও কাজের অনুমতিও দেয়।

গো নিউজ২৪/এমআর

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর