আতঙ্কে মিন্নির পরিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ০১:৫৮ পিএম
আতঙ্কে মিন্নির পরিবার

বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার তিনদিন পার হলেও, এখনও এর কারণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিভিন্ন পক্ষ থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্বকে এর প্রধান কারণ বলা হলেও আছে ভিন্ন মতও। তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, কারণ যাই হোক দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক খুনিরা।

এদিকে রিফাত হত্যার তিন দিন পর নতুন আতঙ্ক বাসা বেঁধেছে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এবারের আতঙ্ক সন্ত্রাসী নয়ন বন্ড না হলেও তার সঙ্গী ও সহযোগীরা।

মিন্নির পরিবার সদস্যরা জানায়, হত্যাকাণ্ডের দিন থেকে অচেনা একদল লোকের আনাগোনা চলছে মিন্নিদের বাড়ির আশপাশে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত একদল লোক মোটরসাইকেলে মিন্নিদের বাড়ির সামনের রাস্তায় আসে। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে মিন্নি ও তার পরিবারের বিষয়ে নানা কথা জিজ্ঞাসা করে। পরে বাড়ির সামনে পুলিশ দেখে দ্রুত চলে যায়।

তবে মিন্নি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক রয়েছে জেলা পুলিশ। মিন্নিদের বাড়ির সামনে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ সদস্য সর্বত্তয় পাহারা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল ১০টায় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন ও তার সহযোগিরা দিনে দুপুরে কুপিয়ে আহত করে রিফাত শরীফকে। আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঐদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এ মামলাটিতে ক্রম অনুযায়ী আসামিরা হলো, মো. সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মো. হাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), মো. অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত আসামি।

গো নিউজ২৪/এমআর

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর