কিশোর বয়সে পাগলা গারদে ছিলেন সেফাতউল্লাহ


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০৩:৪০ পিএম
কিশোর বয়সে পাগলা গারদে ছিলেন সেফাতউল্লাহ

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরিফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্যসহ নিয়মিত ফেসবুকে বিব্রতকর কনটেন্ট প্রকাশ করে যাচ্ছেন কারী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর।

সেফু চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের পুত্র। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সব ঘর মিলে সেফুর ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। সেফুর আপন ভাই-বোনের সংখ্যা জানা গেছে ৮ জন। তবে কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।

সেফুর একমাত্র সন্তান ইংল্যান্ডে থাকেন, তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফু অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান। পরিবারের অবাধ্য এই সেফু একজন বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।

শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামের সেফুদার চাচাতো ভাই রেদোয়ান হোসেন সেন্টু জানান, ছোটবেলা থেকেই সেফু পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলতেন। পরিবারের কাছে জেনেছি, তাকে একবার পাগলা গারদ ও জেলখানায় রাখা হয়েছিলো। তার বাবা হাজী আলী আকবর কোনো সম্পত্তি তাকে দেননি। ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকি হাজী আলী আকবর মারা যাওয়ার সময় দেশে আসেননি এই সেফুদা। পরিবারের কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।

সেফুদার বড় ভাই শামছুল আলম মজুমদার বলেন, কিশোর বয়সে সেফাতকে আমার বাবা পাবনা পাগলা গারদে দিয়ে আসে। সেখানে কয়েক মাস তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে মাঝেমধ্যে বাড়িতে ফোন করে। ফোন করেই আমাদের গালিগালাজ করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল। 

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টায় সেফু ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, এটি কোরআন শরিফ ছিল না। এটি একটি বই। এক কবি উপহার দিয়েছিল। তবে রাগে-ক্ষোভে কথাগুলো বলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর