উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী যখন ভুয়া অধ্যাপক


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী যখন ভুয়া অধ্যাপক

ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলফনামা ও মনোনয়ন ফরমে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান তার নামের আগে ‘অধ্যাপক’ উল্লেখ করলেও আসলে তিনি কখনো কোনো কলেজের অধ্যাপক ছিলেন না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তিনি জীবন বৃত্তান্ত, দলীয় ও ব্যক্তিগত প্রচারণার সর্বত্র উল্লেখ করছেন ‘অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান’!

এনিয়ে সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।

১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সাভার কলেজের ভূগোল বিভাগে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার ভুয়া পরিচিতি নিয়ে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও শোরগোল চলছে। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এ ধরনের দালিলিক প্রমাণ হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়ায় বেকায়দার পড়েছেন মিজানুর রহমান। 

চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানের এমন ভুয়া পরিচয় নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে একাধিক শিক্ষক, ভুগোল বিভাগের প্রাক্তন একাধিক শিক্ষার্থী ও স্টাফদের প্রতিবাদের মুখে সাভার কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম ও উপাধ্যক্ষ দিল আফরোজা শামীম ২৩ মার্চ লিখিতভাবে জানান, তিনি খণ্ডকালীন প্রভাষক ছিলেন। এছাড়া কোথাও অধ্যাপনা করেন নি।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হলফনামায় নিজেকে সাভার কলেজের অধ্যাপক উল্লেখ করে ‘মিথ্যা তথ্য প্রদান করে অপরাধ’ করেছেন এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন মর্মে নির্বাচন কমিশন ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সোমবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন।

ভুয়া তথ্য প্রসঙ্গে মো. মিজানুর রহমান বলেন, কলেজে যে পড়ায় সেই তো অধ্যাপক। তাছাড়া আমার ভোটার আইডি কার্ডে নামের আগে অধ্যাপক লেখা রয়েছে। তাই নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে সব জায়গায় অধ্যাপক লিখতে হয়েছে। যদি অধ্যাপক না লিখতাম তাহলে দুই রকম হয়ে যেত। তাই ‘অধ্যাপক বাদ’ দিতে পারি নি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ এবং এর সত্যতা পাওয়া গেছে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশন এবং আদালত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে এ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর