দীর্ঘ ২৮ বছর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে ক্যাম্পাসে চলছে এখনো আন্দোলন।
ঘোষিত ফলাফলে ভিপি পদে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে শপথ নেবেন, না চাইলে নেবেন না।
এদিকে দেখা গছে, ডাকসুর নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত নেতাদের কোনো ধরনের শপথের ব্যবস্থা নেই। হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদের নেতাদের অভিষেক অনুষ্ঠান হয়।
ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র দু’টি খণ্ডে বিভক্ত। যেখানে কেন্দ্রীয় সংসদ অংশে নির্বাহী কমিটি, কার্যালয় বণ্টন, সংসদের তহবিল, শূন্যপদ পূরণ, গঠনতন্ত্রের সংশোধনসহ ১৬টি বিষয় উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় খণ্ডে হল সংসদের নিয়মাবলী, কার্যক্রমসহ তেরোটি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সেখানকার কোথাও ডাকসুর নেতাদের কোনো ধরনের শপথ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ নেই। হল সংসদের ৭২ নং ধারায় অভিষেক অনুষ্ঠানের কথা লেখা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘নির্বাহী কমিটি একটি ব্যায়ের বাজেট প্রস্তুত করবে এবং অভিষেক অনুষ্ঠানের ১৪ দিনের মধ্যে তা সংসদে উপস্থাপন করবে।
সে হিসেবে শপথ না নিলেও নুরুল হকই ডাকসুর ভিপি থাকবেন।
এবিষয়ে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করা কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ডাকসুর নেতাদের শপথের কথা কোথাও লেখা নেই। দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।
ডাকসুতে নির্বাচন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। সে সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমদের শপথ নেওয়ার কোনো ধরনের নিয়ম ছিল না। হল সংসদ ও কেন্দ্রীয় সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠান হতো। বর্তমানেও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অভিষেক অনুষ্ঠান হবে। সংসদের মেয়াদ অভিষেক অনুষ্ঠান থেকে এক বছর।
গো নিউজ২৪/আই