পরবর্তী মহাসচিব : একজনকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছেন নেতাকর্মীরা


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০১৯, ০৯:৫৬ পিএম
পরবর্তী মহাসচিব : একজনকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছেন নেতাকর্মীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর দল পুনর্গঠনের জোর দাবি যখন বিএনপির ঘরজুড়ে, ঠিক তখন তিন নেতার এমন বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে কে হবেন দলের নতুন কাণ্ডারি? যেসময় দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারান্তরীণ, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশ বিভূঁইয়ে জীবন কাটাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। দলের এমন মুহূর্তে সর্বোচ্চ ফোরামের দায়িত্ব নিতে যে নামটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে সেটি ডা. জোবাইদা রহমান। তিনি তারেক রহমানের স্ত্রী।

বিএনপির রাজনীতিতে জিয়া পরিবারের বড় পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান সক্রিয় হবেন, দলের ভেতরে-বাইরে এই দাবি জোরালো হয়ে উঠছে দিন দিন। 

ক্লিন ইমেজের জোবাইদা রহমান যাতে বিএনপির হাল ধরেন, দলের ভেতর থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। কিন্তু জিয়া পরিবারের অনাগ্রহের কারণেই তিনি রাজনীতিতে আসছেন না। তবে ইতোমধ্যে জোবাইদা দলের প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়েছেন।

এছাড়া আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথিরও রাজনীতিতে আগ্রহ রয়েছে। তাকে এবার দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের উপর, এমনটাই জানিয়েছে দলের হাইকমান্ড।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় কাউন্সিলের পর থেকে বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির দুটি পদ ফাঁকা রেখেই কমিটি দেন খালেদা জিয়া। বাকি ১৭ সদস্যের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ ও এমকে আনোয়ার মারা গেছেন। ফলে বর্তমানে পাঁচটি পদ ফাঁকা। লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থতার কারণে দলে নিয়মিত সময় দিতে পারেন না।

তারেক রহমানের সঙ্গে ডা. জোবাইদা রহমান

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কমিটি ঘোষণার আগে থেকেই ভারতে আছেন। কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তাও জানা যাচ্ছে না, স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠকেও যোগ দিতে পারেননি।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে সরকার ও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন স্থায়ী কমিটির এমন দুই সদস্য অবসরে যেতে চান বলে জানা গেছে। ফলে স্থায়ী কমিটির ৯টি পদ কার্যত অকার্যকর হয়ে আছে। এতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে চলছে এক ধরনের স্থবিরতা। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের চেয়ে থাকতে হয় লন্ডনের দিকে।

হাজার হাজার নেতাকর্মী যখন হামলা, মামলায় জর্জরিত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, দলের অস্তিত্ব নিয়ে যখন সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, সেই সময়ে তরুণ নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া বুমেরাং হবে নাকি জাতীয়তাবাদী দলের নতুন ইতিহাস তৈরি হবে সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে বিএনপির আগামী সম্মেলন পর্যন্ত।

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর