বদির যেসকল আত্মীয়-স্বজন জড়িত ইয়াবা ব্যবসায়


ইমতিয়াজ আমিন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর: প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৮, ০৩:১১ পিএম
বদির যেসকল আত্মীয়-স্বজন জড়িত ইয়াবা ব্যবসায়

ঢাকা : কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদক ব্যাবসায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। দেশে মাদকের বিষয়ে কোনো কথা উঠলেই তার নামটি আগে চলে আসে। সরকারের কাছেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। তবে অভিযোগ থাকলেও প্রমাণ নেই বলে বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এমনটি জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে মাদক ব্যবসায় বদির পরিবারের একাধিক সদস্যের জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার ভোরে বদির বেয়াই আক্তার কামালের (৪১) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের পাশে এক হাজার পিস ইয়াবা, ১টি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি পড়ে ছিল।

এদিকে গত বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর দেশের মাদক গডফাদারদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেই তালিকায় দেশজুড়ে মাদক গডফাদারদের সংখ্যা ১৪১ জন। এতে ক্ষমতাধর অনেক রাজনীতিকের ভয়ংকর চেহারা বেরিয়ে আসে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওই তালিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠার একটি প্যারায় বলা হয়েছে, মাননীয় সংসদ সদস্য (এমপি)  আবদুর রহমান বদি দেশের ইয়াবা জগতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী। তার ইশারার বাইরে কিছুই হয় না। দেশের ইয়াবা আগ্রাসন বন্ধের জন্য তার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।

আরও বলা হয়েছে, দেশের মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতার। এদের মধ্যে ওয়ার্ড, থানা বা মহানগর নেতা থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্তও রয়েছেন। মাদকের আন্ডারওয়ার্ল্ডে তারা ডন হিসেবে পরিচিত। আছেন সিআইপি খেতাব পাওয়া ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে সরকারি কর্মকর্তারাও।

এছাড়া ২০১৬ সালের অক্টোবরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের করা তালিকায় শুধু বদিই নয়, ইয়াবা চোরাচালানের গড ফাদার হিসেবে বদির ভাই, ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই ও বেয়াইসহসহ তার পরিবারের অন্তত ১৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকাটি তখন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়াসহ কয়েকটি থানায় পাঠানো হলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

তালিকায় দেখা গেছে, বদিসহ নাম রয়েছে তার পাঁচ ভাই আবদুস শুক্কুর, আবদুল আমিন, মৌলভী মজিবুর রহমান, মো. শফিক ও মো. ফয়সালের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার হয়ে ভিআইপি প্রটেকশনে ইয়াবার বড় বড় চালান টেকনাফে নিয়ে আসার কাজটি করেন বদির এই ৫ ভাই। আর সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেন পিএস মং মং সেনসহ তার নিজস্ব অনুসারীরা।

এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকায় বোদির আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আরও রয়েছেন-বোদির ভাগিনা শাহেদুর রহমান নিপু, ফুফাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, বেয়াই আক্তার কামাল (শুক্রবার তার গুলিবিদ্ধ লাশ মিলেছে), আরেক বেয়াই শাহেদ কামাল। এছাড়া অন্যান্য আত্মীয়দের মধ্যে রয়েছেন-জাফর আহামদ, মোস্তাক আহামদ, দিদার আহামদ, মো. শাহজাহান ও সাইফুল করিম।

 

গো নিউজ২৪/আই

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর