সমুদ্রের ৩২ ফুট নিচে পোস্টবক্স, চিঠিও ফেলে মানুষ!


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৭, ০১:২১ পিএম
সমুদ্রের ৩২ ফুট নিচে পোস্টবক্স, চিঠিও ফেলে মানুষ!

ইন্টারনেটের দুণিয়ায় এখন পোস্টবক্স ব্যবহার কমে গেছে। বর্তমানে চিঠির পরিবর্তে মানুষ ইমেইলের মাধ্যমেই যোগাযোগ সম্পন্ন করছে। তবে জাপানের দৃশ্য কিছুটা আলাদা। তারা পোস্টবক্স এখনও ব্যবহার করে। কিন্তু তা সাগরের ৩২ ফুট নিচে! অবাক হওয়ার কিছু নেই। তারা আসলে বাধ্য হয়ে নয় বরং ব্যতিক্রমী কাজ করার জন্যই এ পোস্টবক্সটি ব্যবহার হয়। আর তা গিনেস বুকে স্থানও পেয়েছে । 

জাপানের ওয়াকায়ামা প্রিফেকচারে একটি ছোট জনপদ সুসামি। সেখানে বাস মাত্র ৫০০০ লোকের। আর এই সুসামি বে-এর কাছে জলের ৩২ ফুট নিচে রয়েছে একটি পোস্টবক্স। বছরে অন্তত ১০০০ থেকে ১৫০০ চিঠি এখান থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যান ডাক কর্মীরা। 

জলের নিচে ডাকবাক্স। ছবি: ইন্টারনেট

এই ডাক বাক্সে সাধারণত ওয়াটার-প্রুফ পোস্টকার্ডে চিঠি লিখে ফেলে আসনে ডাইভাররা। স্থানীয় লোক কম, বেশিরভাগই পর্যটকেরা এই বাক্সে চিঠি ফেলতে আসেন। এই ধরনের ওয়াটার-প্রুফ পোস্টকার্ড সুসামি বিচের বেশ কয়েকটি দোকানে পাওয়া যায়। সঙ্গে তেল-রঙের মার্কার পেন। ওই বিশেষ কলমে চিঠি ও ঠিকানা লিখে জলের তলার পোস্টবক্সে ফেলে দিলেই যথাস্থানে পৌঁছে যাবে চিঠি। 

কয়েকদিন অন্তরই স্থানীয় পোস্ট অফিসের কর্মীরা পানির তলায় গিয়ে পোস্টবক্স থেকে চিঠি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। 

১৯৯৯ সালে কুমানো কোডো তীর্থযাত্রাকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় সুসামির কোনও বিশেষ আকর্ষণ ছিল না। তৎকালীন স্থানীয় পোস্টমাস্টার তোশিহিকো মাৎসুমোতো  প্রস্তাব দেন জলের তলায় পোস্টবক্স রাখার। সেই থেকেই চলছে এই ‘আন্ডারওয়াটার পোস্টবক্স’। 

প্রতি ছয় মাস অন্তর এই পোস্টবক্সটিকে তুলে নিয়ে এসে অন্য একটি পোস্টবক্স রাখা হয় জলের তলায়। ঠিকঠাক করে, রঙ করে বদল করা হয় পুরনো পোস্টবক্সটি। 

২০০২ সালে বিশ্বের ‘ডিপেস্ট আন্ডারওয়াটার পোস্টবক্স’ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গায় করে নিয়েছে সুসামি বে-এর এই আকর্ষণ।

গো নিউজ২৪/পিআর

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর