প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ও এক যৌনকর্মীর ভালোবাসার গল্প


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৭, ০১:৩০ পিএম
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ও এক যৌনকর্মীর ভালোবাসার গল্প

সবাই ভালোবেসে পাশে থাকতে পারে না। থাকতে হলে লাগে মনে কঠিন জোর। আর এই জোরেই পারে সমস্ত প্রতিকূলতাকে দুর করতে। ভালোবাসা যদি সকল বাঁধা ভেঙ্গে টিকে থাকে, তাহলে সেটা অন্যের কাছে হতে পারে একটি দৃষ্টান্ত !

এমন ভালোবাসার এক ব্যতিক্রমধর্মী গল্প রচনা করেছেন বাংলাদেশি এক সাবেক যৌনকর্মী। যিনি ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন শারীরিকভাবে অক্ষম এক ভিক্ষুকের কাছে। তাদের এই ভালোবাসার গল্পে কেঁদেছে হাজারও মানুষ।
এই ভালোবাসার গল্পের নায়ক হলেন আব্বাস মিয়া (শারীরিক প্রতিবন্ধী) ও  রাজিয়া বেগম (সাবেক যৌনকর্মী)।
 
বাংলাদেশের বিখ্যাত আলোকচিত্রী জিএমবি আকাশ ফেসবুকে ইংরেজিতে লেখা এক পোস্টে এই দম্পতির সুখ দুঃখের চিত্র তুলে ধরেছেন। অনলাইনে এ গল্প হাজারো মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে।

জিএমবি আকাশ সেখানে জানিয়েছেন, রাজিয়া বেগম কীভাবে পতিতাবৃত্তিতে আসতে বাধ্য হয়? সে জগৎ থেকে মুক্তির জন্য তিনি কিভাবে লড়াই করেছেন? কেন ব্যর্থ হয়েছেন?

মেয়ে টুম্পার জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন সে পথ। কোনোদিন মেয়েকে সেসব কথা বলার সাহস হয়নি তার।
রাজিয়া বলেন, আমাকে ব্যবহার না করলে কেউ কোনোদিন টাকা দিত না। আগে ব্যবহার করতো তারপর টাকা দিত। কিন্তু এক বৃষ্টির রাতে হুইল চেয়ারে বসে থাকা একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে সাহায্য করেন, কোনো প্রকার দাবি ছাড়াই। এমন পরিস্থিতিতে আমার চোখে অশ্রু ঝড়ে। সেদিনই প্রথম আমার মনে ভালোবাসা জাগে।’ এরপর থেকেই আমি তাকে অনেক খুঁজেছি। হঠাৎ একদিন একটি গাছের নিচে তাকে দেখতে পাই।

পরে আমি জানতে পারি, তার শারীরিক অক্ষমতার জন্য অনেক আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেছে। মনে সাহস এনে তাকে বলেছিলাম, আমি সারাজীবন তোমার হুইল চেয়ার টানতে চাই। তখন সে হেসে ওঠে।

আব্বাস মিয়া বলেন, ‘ভালোবাসা ছাড়া এই হুইল চেয়ার কেউ ধরতে পারে না।’

ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে আছে তাদের সকল কষ্ট, সকল যন্ত্রনা। দুটি মনের জোরেই চালাচ্ছেন জীবনের চাকা। চলতি বছরে তাদের চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকী পদার্পণ করেছে।
গো নিউজ২৪/পিআর

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর