অনলাইনে গোবরের কেক!


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১১, ২০১৭, ০৪:১৩ পিএম
অনলাইনে গোবরের কেক!

ভারতের রাজস্থানের কোটা শহর থেকে তিনজন তরুণ উদ্যোক্তা তাদের ১৫ বছরের পারিবারিক ব্যবসা ডেইরি ফার্মিং কে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গেছে যা ই-টেইলিং সাইট অ্যামাজনে জ্বালানি হিসেবে গরুর গোবরের কেক বিক্রি করছে। 

গত তিন মাস তারা আমাজনে গরুর গোবরের জ্বালানি কেক বিক্রি করে আসছে। এই জ্বালানি কেক, প্রতি এক ডজনের মূল্য ১২০ রুপি। তিনজন তরুণ উদ্যোক্তা বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ১৫ টি চালানের প্রতিটিতে গড়ে ৫০০-১০০০ টি জ্বালানি গোবরের কেক বিক্রয় করে থাকে। তারা মূলত মুম্বাই, দিল্লি এবং পুনে থেকে ভাল এটার প্রতি ভালো সাড়া পাচ্ছে। চালানের সময় গোবরের কেক কে এমন ভাবে প্যাক করা হয় যাতে এটা ভেঙ্গে না যায়।

গোবরকে পানি দিয়ে আধা তরল মিশ্রণ বানিয়ে পিঠার মত গোল গোল করে শুকিয়ে প্যাকেট করা হয়। এবং বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। সবশেষে পণ্যটি কার্ডবোর্ড বাক্সে বস্তাবন্দী করে প্রেরণ করা হয়। তারা বলেন অনলাইনে বিক্রির ধারনাটি আসেছে টিয়ার -১ শহরগুলির চাহিদা অনুসারে। 

কোটা শহরে অবস্থিত কোম্পানির গবাদি পশুর খামার ৪০ একর জায়গায় বিস্তৃত এবং এখানে ১২০টি গরু আছে। আধুনিক অবকাঠামো, কার্যকর সংযোগ, দক্ষ জনশক্তি এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা দিয়ে এটি সজ্জিত। উদ্যোক্তারা বলেন, গরুগুলোকে সুষম খাবার দেয়া হয় এবং সুস্থ পরিবেসে রাখা হয়।

এই সকল খামারের বর্জ্য থেকে দুধের পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাস, সার ও জ্বালানির জন্য গবরের কেক উৎপাদন করা হয়। কোম্পানী গৃহপালিত পশুর উপর রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআই ডি) স্থাপন করেছে যা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে থেকে গরুর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অনুসরণ করতে সহায়তা করবে। 

পরিচালক দাবি করেন যে এই দুগ্ধ খামার রাজস্থানে প্রথম বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। এইটি খামারে একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস যেখানে প্রতিদিন ৪০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় । তারা আর বলেন, এই খামার হতে বার্ষিক প্রায় ২৪,০০,০০০রুপি আয় করে।

 


গো নিউজ২৪/এএইচ

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর