সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক


প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৭, ০৮:১৮ এএম
সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক

মেরু ভাল্লুকের ছানা ফ্রিৎসের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বিশ্বের সব ভক্তরা দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল৷ এবার থাকছে চলচ্চিত্র ও সাহিত্য জগতে জনপ্রিয় ভাল্লুকদের কথা৷

ফ্রিৎস, ছোট্ট মেরু ভাল্লুক
বার্লিন চিড়িয়াখানার মেরু ভাল্লুকের ছোট্ট ছানা ফ্রিৎস বিশ্বের প্রতিটি পশুপ্রেমীদের ভালোবাসা কুড়িয়েছিল৷ কিন্তু মাত্র চার মাস বয়সেই তার মৃত্যু হয়৷ তাকে নিয়ে কি কখনো কাহিনি লেখা হবে? উত্তরটা যাই হোক না কেন, এমন কিছু ভাল্লুকদের কথা কিন্তু ইতিমধ্যেই স্থান পেয়েছে চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যে৷ আর বলা বাহুল্য সেগুলো জয় করে নিয়েছে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদয়৷

উইনি দ্য পু
ভীষণ মিষ্টি, একটু পাগলাটে এবং নম্র স্বভাব – এই হলো ‘উইনি দ্য পু’৷ ১৯২০ সালে অ্যালান আলেকজান্ডার মিলনে এই আদুরে ভাল্লুকটি নিয়ে গল্প লেখেন, সেসময় শিশুদের বইয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র হয়ে ওঠে পু৷ লেখকের মৃত্যুর পর ওয়াল্ট ডিজনি গল্পগুলো কিনে নেয়৷ তারাই চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিক বানানো শুরু করে৷ ২০০৬ সালে হলিউডের ওয়াক অফ ফেম-এ স্থান পায় পু৷

প্যাডিংটন ভাল্লুক
এই ছোট্ট ভাল্লুকটি একটা হ্যাট আর সুটকেস হাতে পেরু থেকে প্যাডিংটনে পৌঁছেছিল৷ সেখানে একটি বাদামি ভাল্লুক পরিবার তাকে আশ্রয় দেয়৷ যে স্টেশন থেকে তারা তাকে পেয়েছিল, সেই নামে নামকরণ করা হয় তার৷ লেখক মাইকেল বন্ড প্যাডিংটন এই ভাল্লুকটিকে নিয়ে গল্প লেখেন, যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে৷ এরপর তা থেকে টিভি-সিরিজ তৈরি হয়, এমনকি ২০১৪ সালে ‘প্যাডিংটন’ নামে নির্মিত হয় একটি মুভিও৷

সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক
ওয়াল্ট ডিজনির চলচ্চিত্র ‘দ্য জঙ্গল বুক’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে ‘বাবা ভাল্লুক’ হিসেবে বেজায় জনপ্রিয় ‘বালু’৷ তার গলার ‘দ্য বেয়ার নেসেসিটিস’ গানটি তো আজ সারা বিশ্বেই পরিচিত এখন৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে লেখক রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর লেখা ‘দ্য জঙ্গল বুক’ বইটি নিয়ে প্রথম অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় ১৯৬৭ সালে৷

লার্স, আরেক ছোট্ট মেরু ভাল্লুক
উত্তর মেরুর বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় বাবা-মার সঙ্গে থাকে লার্স৷ তার সাথে ঘটে নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা৷ ডাচ লেখক হানস ডি বিয়ার ১৯৮৭ সালে শিশুদের জন্য লার্স ভাল্লুককে নিয়ে একাধিক বই লেখেন৷ ১৯৯২ সালে সে বইগুলো থেকে একটি টিভি-সিরিজ নির্মিত হয় এবং ২০০১ সালে নির্মিত হয় একটি চলচ্চিত্র৷

ভাল্লুক ভাই
বরফ যুগের শেষে উত্তর অ্যামেরিকায় কেনাই নামে এক ছেলে একটি ভাল্লুককে মেরে ফেলে৷ মৃত ভাল্লুকের পরিবার এর প্রতিশোধ নেয়৷ কেনাইকে ভাল্লুকে পরিণত করে তাড়া করে৷ পালাতে পালাতে কুমা নামের অন্য একটা ভাল্লুকের দেখা পায় কেনাই৷ দু’জনের বন্ধুত্ব হয়৷ ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও ক্ষমার এই গল্প নিয়েই ২০০৩ সালে মুভি তৈরি করে ডিজনি৷ ২০০৪ সালে অস্কারে সেরা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের মনোনয়নও পায় ছবিটি৷

বাবার গুণ সম্পন্ন যে ভাল্লুক
রুশ অ্যানিমেটেড ধারাবাহিক ‘মাশা অ্যান্ড দ্য বেয়ার’-এ দেখানো হয়েছে সার্কাস থেকে অবসর নেওয়া এক ভাল্লুক কীভাবে জঙ্গলে একটা কুঁড়েঘরে বাস করে৷ সে তার শান্ত পরিবেশটা ভীষণ উপভোগ করছিল, কিন্তু মাশা নামের একটি ছোট্ট মেয়ে তার জীবনে রোমাঞ্চ, সেইসঙ্গে নানারকম ঝামেলা নিয়ে আসে৷ ‘মাশা অ্যান্ড দ্য বেয়ার’ বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড টিভি-সিরিজ৷

শুধুমাত্র অ্যানিমেটেড রূপেই নয়
১৯৮৮ সালের ফ্রেঞ্চ চলচ্চিত্র ‘দ্য বেয়ার’ ছিল অন্যতম সফল একটি চলচ্চিত্র, যেখানে আসল একটি ভাল্লুক মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিল৷ জ্যঁ-জাক আনো ছিলেন এই ছবির পরিচালক৷ জেমস অলিভার কারউড-এর বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য গ্রিজলি কিং’-এর ওপর ভিত্তি করেই চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল মুভিটির৷-ডয়েচেভেলে

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর