সার্বিয়ার অদ্ভুত সমাধিস্থল


গো নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০১৭, ০৮:৩৬ পিএম
সার্বিয়ার অদ্ভুত সমাধিস্থল

ডেস্ক: সার্বিয়ার তিনটি গ্রামের মানুষ তাদের মৃত আত্মীয়স্বজনদের কবরকে ঘিরে তার ওপর এক বা দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করে থাকেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও চলে।

দেখতে আবাসিক এলাকার মতো:
প্রথম দেখায় কি বসবাসের ঘরবাড়ির মতো মনে হচ্ছে? এগুলো কিন্তু আসলে একেকটি পারিবারিক কবরস্থান, যার উপর ঘরগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সার্বিয়ার তিনটি গ্রাম টারনোভিচ, সাপিনে ও স্মলিয়েনাচে এরকম অদ্ভুত সমাধিস্থল দেখতে পাওয়া যায়।

মৃতদের স্মরণ করার অন্যরকম উপায়:
খেয়াল করে দেখুন ওই ঘরে ক্রস, ফুল আর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সময় ব্যবহৃত হয় এমন সব জিনিসপত্র দেখা যাচ্ছে৷ ব্যক্তিমালিকানাধীন এ সব চ্যাপেলে (খ্রিস্টানদের উপাসনার স্থান) বড় জানালাবিশিষ্ট এক বা একাধিক ঘর ছাড়াও থাকে বারান্দা, ফুল রাখার জায়গা ইত্যাদি৷ আর চ্যাপেলের নীচেই আছে পারিবারিক কবরস্থান।

আরামদায়ক পরিবেশ:
টেবিলের উপর বিস্কুট আর পানি রাখা আছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক নারী জানান, ‘‘আমরা যখন মৃতের সঙ্গে দেখা করতে আসি তখন আমাদের বসার জন্য মাথার ওপর ছাদ আর কফি দরকার হয়।’’

গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা প্রবীণ:
ছবিটি স্মলিয়েনাচ গ্রামের৷ বেলগ্রেড থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামে প্রায় ১,৮০০ মানুষের বাস, যার মধ্যে অনেকেই প্রবীণ। এসব চ্যাপেল প্রবীণদের একটু আরামে তাদের চলে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছে।

চাহিদা ব্যাপক:
নতুন সমাধি ঘর তৈরির কাজ চলছে। স্মলিয়েনাচ গ্রামের অনেক মানুষ বিদেশে থাকেন। সেখান থেকে তারা গ্রামে টাকা পাঠান। ফলে গ্রামবাসীদের আর্থিক অবস্থা ভাল। তাই অনেকেই এমন ব্যক্তিগত চ্যাপেল নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন।

গরিবদের জন্য অন্য ব্যবস্থা:
যাদের চ্যাপেল তৈরির সামর্থ্য নেই তাদের পাথরখণ্ড দিয়ে সমাধি চিহ্নিত করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। যেমন ছবিতে সাপিনে গ্রামের একটি কবর দেখা যাচ্ছে।

কত খরচ হয়?
সাধারণ একটি পারিবারিক কবরস্থানের জন্য ৮০০ ইউরো খরচ করলেই হয়। তবে চ্যাপেল বানাতে চাইলে প্রায় চার হাজার ইউরোর মতো দাম দিতে হয়।

প্রতিযোগিতা:
গ্রামের তরুণরা যেহেতু দেশের বাইরে থেকে অনেক টাকা পাঠান, তাই কার চ্যাপেল কত বড় সেটি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা দেখা যায়।

গোনিউজ২৪/এম

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর