মাত্র তিন বছর বয়সি লেনি তার অবিশ্বাস্য বুদ্ধিমত্তার দরুন তার পিতার জীবন বাঁচিয়েছে। লেনির বাবা ৩৪ বছর বয়সি মার্ক জোনস ডায়াবেটিস রোগী। গত রোববার রাতে মার্ক জোনসের রক্তে শর্করার মাত্রা একটি বিপজ্জনক স্তরে নেমে যায়।
বাবাকে মেঝেতে লুটিয়ে পড়তে দেখে তিন বছর বয়সি বালক লেনি দ্রুত একটি চেয়ার ব্যবহার করে রুমের এক কোনায় থাকা ফ্রিজের হাতল পর্যন্ত পৌঁছায়। তারপর সেখান থেকে দুটো ইয়োগার্ট খাবার বের করতে সমর্থ হয়।
দ্রুত-চিন্তা শক্তিশালীর অধিকারী শিশুটি তারপর সত্যিকার চামচের ড্রয়ারে পৌঁছাতে না পেরে তার খেলনার বাক্স ঘেঁটে সেখান থেকে পরে একটি প্লাস্টিকের ছুরি নিয়ে এসে তা দিয়ে ইয়োগার্টটিকে টুকরো টুকরো করে তার বাবার মুখের ভেতরে দিতে থাকে।
সে ততক্ষণ পর্যন্ত এ কাজ করছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না তার বাবার জ্ঞান ফিরে আসে এবং তিনি নিজ হাতে তার গ্লুকোজ ট্যাবলেট নিতে সক্ষম হন।
লেনির মা ৩১ বছর বয়সি এমা বলেন, তিনি তার পুত্রের জন্য গর্বিত কারণ সে না থাকলে কঠিন একটা কিছু ঘটে যেতে পারত।
তিনি বলেন, ‘সে তার বাবার জীবন রক্ষা করেছে। মার্কের টাইপ ১ ডায়াবেটিস রয়েছে এবং এ জন্য তাকে দিনে চারবার ইনসুলিন নিতে হয়।’
গোনিউজ২৪/এমএইচএস