ব্যাংকের বিনিয়োগে নতুন শর্ত দিয়ে নীতিমালা জারি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২০, ০৯:৪১ পিএম
ব্যাংকের বিনিয়োগে নতুন শর্ত দিয়ে নীতিমালা জারি

বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পর্যটনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যাংকের বিনিয়োগে নতুন শর্ত দিয়ে নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বেসরকারি খাতের অবকাঠামো প্রকল্প বা কোম্পানিতে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করলে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিশোধিত মূলধনের পাঁচ শতাংশের বেশি প্রথম বছরে তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

ব্যাংকের বিনিয়োগে গুণগত মান বৃদ্ধি, বাজারে তারল্য সৃষ্টি এবং ঝুঁকি কমিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সরকারি কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগের নিয়ম বহাল রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

এর আগে গত বছরের ১৬ মে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্প বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলার অনুযায়ী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদিত স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি), বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল বা সমজাতীয় কোনো তহবিলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ অবকাঠামো, পর্যটন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো বাস্তবায়নে অর্থ সংগ্রহ করতে চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

তবে এসব অ-তালিকাভুক্ত অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়ছে ব্যাংক। কারণ ব্যাংকের তহবিল আটকে থাকছে এবং সেখান থেকে সহজেই বের হতে পারে না। তাই এখন থেকে বেসরকারি খাতের এ রূপ কোনো অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যাংক বিনিয়োগ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে বিনিয়োগের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি খাতের এ ধরনের কোনো প্রকল্পে ব্যাংক যদি বিনিয়োগ করে তাহলে এক বছরের মধ্যে এগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করাতে হবে এবং বিনিয়োগের শুরুতে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি করতে হবে। যদি এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত না হলে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়, এ ধরনের কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিনিয়োগকারী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে অপরিবর্তনীয় সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। কোনো ব্যাংক এরই মধ্যে এ রূপ কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকলে এই নির্দেশনা জারির ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সরাসরি তালিকাভুক্তি পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি সম্পাদন করতে হবে। শেয়ারপ্রতি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংক যে মূল্যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ সম্পাদন করেছে তার গড় মূল্যের কম ধার্য করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিশোধিত মূলধনের পাঁচ শতাংশের বেশি প্রথম বছরে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর বিনিয়োগকারী ব্যাংকের বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য অ-তালিকাভুক্ত থাকাকালীন গঠিত কোনো বিশেষ তহবিল সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে শুধু নগদ লভ্যাংশ প্রদান বা তফসিলি ব্যাংকের সাথে থাকা দায় পরিশোধ করার কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

গোনিউজ২৪/এন

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর