চাল নিয়ে মন্ত্রী-ব্যবসায়ীদের তর্কাতর্কি


অর্থনীতি প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ০৪:৫৮ পিএম
চাল নিয়ে মন্ত্রী-ব্যবসায়ীদের তর্কাতর্কি

ঢাকা: চালের দাম লাগামছাড়া হওয়ার কারণ খোঁজা আর বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রীদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হলেন চাল ব্যবসায়ীরা। বৈঠকের শুরুতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মন্তব্য করলেন দেশে চালের কোনো সংকট নেই। সারা দেশে প্রায় এক কোটি টন চাল আছে। এই মন্তব্যের জের ধরেই তর্ক বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক আয়োজন করা হয়। এতে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী ও খাদ্য সচিবসহ অর্থ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চালকল মালিকদের সংগঠনগুলোর নেতা ও খাদ্যপণ্যের কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী।

বৈঠকের শুরুতে দেশে চালের কোনো সংকট নেই দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছেন। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ীরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্যবসায়ীরা উল্টো সরকারের নানা নীতির সমস্যা ও সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেয়ার কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন।

খাদ্যমন্ত্রীর কথায় সায় দিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা মোটা চাল মেশিন দিয়ে কেটে মিনিকেট বানান। তার এ বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা।

চাল নিয়ে বৈঠক

মন্ত্রীর কথার প্রতিবাদ জানিয়ে চালকল মালিক চিত্ত মজুমদার বলেন, আপনার মতো একজন সিনিয়র মন্ত্রীর কাছে আমরা এ ধরনের মন্তব্য আশা করি না। কোথায় এক কোটি টন চাল মজুত আছে? আমাদের দেখান?’ 

এসময় ‍উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ার কারণগুলো একে একে তুলে ধরেন। চিত্ত মজুমদার বলেন, ‘সরকার ভারত থেকে বেশি দামে চাল আমদানি করছে। কিন্তু আমাদের যদি দায়িত্ব দিত, তাহলে আমরা সরকারের চেয়ে কম দামে ভারত থেকে চাল এনে দিতে পারতাম।’

দিনাজপুরের জহুর অটো রাইস মিলের মালিক আবদুল হান্নান নিজেকে সরকার দলীয় সমর্থক পরিচয় দিয়ে বলেন, চালের আমদানি শুল্ক কমাতে গিয়ে অনেক সময় নেয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে কমানো হয়েছে। এ সব কারণে দাম বেড়েছে।

গোনিউজ২৪/এন

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর