১০ হাজার টাকার লোভে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে মোর্শেদের!


নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০, ০৭:১৭ পিএম
১০ হাজার টাকার লোভে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে মোর্শেদের!

মো. মোর্শেদুল ইসলাম ওরফে মোর্শেদ। চাকরির সন্ধানে পথে পথে ঘুরছিলেন বেকার এ যুবক। হঠাৎ তার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। নতুন পরিচয় হওয়া ব্যক্তি কাজও দিলেন মোর্শেদকে, কিন্তু সেই কাজের জন্যই আজ তিনি জেলখানায়। শুধু তাই নয়, মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে মোর্শেদের।

মোর্শেদের জেলে যাওয়ার কারণ ওই ব্যক্তি মোর্শেদকে যে কাজ দিয়েছিলেন তা ছিল ইয়াবা পরিবহনের। মোর্শেদকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় মাদক বহনের কাজ দিয়েছিলেন তিনি। প্রতি পিস ইয়াবা বহন করলে মিলবে এক টাকা। সেই হিসেবে ১০ হাজার পিস ইয়াবার এক চালানেই মিলবে ১০ হাজার টাকা।

বেকার মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা উপার্জনের লোভ পড়ে যান। এই লোভে পড়ে তিনি ১০ হাজার পিস ইয়াবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এনেছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ধরা পড়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।

১০ হাজার পিস ইয়াবার চালানসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) ১০(গ)/৪১ ধারায় দায়ের করা মামলায় তিনি এখন জেলহাজতে।

উদ্ধারকৃত ওই ইয়াবার ওজন ছিল ৯৮০ গ্রাম। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, ইয়াবার পরিমাণ ৪০০ গ্রাম বা তার বেশি হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া যাবে।

গ্রেপ্তারের আগে মোর্শেদ হয়তোবা নিজেও জানতেন না যে, ১০ হাজার টাকার জন্য ইয়াবা বহন করে তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিও হতে পারে। শুধু মাত্র মোর্শেদই নয়, তার মতো এমন অনেক যুবকই জেনে বা না জেনে যুক্ত হয়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়। আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্যরা প্রায় প্রতিদিনই এমন ইয়াবার চালানসহ অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছেন।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোর্শেদের মত যারা ধরা পড়ছে তারা সামান্য কিছু টাকার জন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সমাজে যারা মোর্শেদদের পেছনে কাজ করে অর্থাৎ মাদকের গডফাদার তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। না হলে এমন অল্প টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিনিয়তই সমাজে হাজারও মোর্শেদের জন্ম দেবেন তারা।

গো নিউজ২৪/আই

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর