সাভারে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা


নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২০, ০৩:৪৫ পিএম
সাভারে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা

সাভারের ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক নারী শ্রমিককে (১৯) ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে (৩১) আটক  করা হয়েছে। 

শনিবার ভোরে ধামরাইর হিজলী খোলা এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে শ্রমিকবাহী এক বাসে ওঠেন ওই নারী।

আটক সোহলের বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা থানায়। তিনি ধামরাইর বড় জেঠাইল এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।

নিহত ওই নারী শ্রমিক ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি ধামরাই কুশুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কারখানায় প্রতিদিন ভোর ৬ টায় কাজে যোগ দিতে হয় ওই নারী শ্রমিককে। অন্য দিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকেও কর্মস্থলের উদ্দেশে শ্রমিকবাহী এক বাসে ওঠেন তিনি। পরে বাসটি ডাউটিয়া না নিয়ে হিজলীখোলা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করেন বাসচালক সোহেল। পরে তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে লাশ ফেলে যান তিনি।

এরপর মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তার মা ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাসচালককে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার ভোরে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

নিহত নারী শ্রমিকের ভাই জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তারা এক ভাই ও এক বোন ছিলেন।

ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে রাতেই সড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন তারা। এসময় লাশের গলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া নিহতের নারীর পোশাক ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। 

আটক বাসচালকের মুখে হাতে ও গলায় মেয়েটির নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

গো নিউজ২৪/আই

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর