ফাঁকা চেকে মহা-প্রতারণা


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৮:২২ পিএম
ফাঁকা চেকে মহা-প্রতারণা

তার নাম মো. মশিউর রহমান। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। থাকেন রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায়। গত ২৫ বছর ধরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মহা-প্রতারণা করে আসছেন এই ব্যক্তি। ফাঁকা চেক দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন অন্তত ২৫ কোটি টাকা।

অত:পর বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ। 

তাকে মহা-প্রতারক বলার কারণ, তিনি একরকম রাজকীয় কায়দায় প্রতারণা করতেন। তিন মাসের জন্য আলিশান অফিস ভাড়া নিতেন। চলাচল করতেন দামি গাড়িতে। পাঁচ তারকা হোটেল ছাড়া ব্যবসায়িক কোনো সভাতেই বসেন না। নানা জনের সঙ্গে লাখ লাখ টাকার পণ্য কেনার ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। আস্থায় নিতে অগ্রিম কিছু টাকাও দিয়ে দেন। ব্যবসায়ী যখন অগাধ বিশ্বাসে সব পণ্য সরবরাহ করেন তখনই শুরু হয় টালবাহানা। টাকা আজ দিচ্ছেন তো কাল, এমন করে ব্যবসায়ীদের ঘুরাতে থাকেন। আর মাস তিনেক পেরোতে না পেরোতেই তিনি লাখ লাখ টাকার পণ্য নিয়ে লাপাত্তা। আর তখন ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে থাকে কেবল কিছু ফাঁকা (ডিজঅনার) চেক।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতারণা ছাড়াও জাল টাকা ও ডলারের সঙ্গেও এই ব্যক্তি জড়িত। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৩৬ হাজার টাকার জাল নোট এবং ছয় হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়। 

ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় তার নামে ১২টি প্রতারণা এবং দশের অধিক চেক জালিয়াতি মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন ব্যক্তি এই ব্যক্তি অন্তত ২৫ কোটি টাকার পণ্য প্রতারণা করে নিয়েছেন।

মশিউর রহমানকে দুদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন অনেক প্রতারিত ও ভুক্তভোগী। তাদের কেউ ব্যবসায়িক চুক্তি অনুযায়ী মশিউরকে লাখ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ করেছিলেন। কেউ চাল, কেউ আলু কেউবা হার্ড ওয়ার সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন।

গো নিউজ২৪/আই

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর