আদালত চত্বর থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ, পরে উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
আদালত চত্বর থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ, পরে উদ্ধার

বরগুনার পাথরঘাটায় মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত চত্বর থেকে বাদীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে আদালতের নির্দেশে পাথরঘাটা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। অপহৃত ওই ব্যক্তির নাম জালাল হাওলাদার (৭০)। তার বাড়ি উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কুপদোন গ্রামে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তি গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলার হাজিরা দিতে আদালতে গিয়েছিলেন। 

মামলার বাদী ও অপহৃত জালালের বোন মমতাজ বেগম বলেন, ‘গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলায় তার ভাই জালাল হাওলাদার কুপদোন গ্রামের মো. হারুনসহ ৬ জনকে আসামি করেন। ওই মামলার আদালতের ধার্য দিনে পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে বাসা থেকে বের হন। আদালত চত্বর থেকে দুটি মোটরসাইকেলে ৬/৭ জন লোক গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকেও মারধর করে। এসময় তার আইনজীবীর সহকারী আলম মিয়াকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।’

এদিকে অপহরণের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জালালের দুইবোন কুলসুম ও মমতাজ আদালতকে জানালে বিচারক অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য পাথরঘাটা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ পাথরঘাটা কলেজ গেট এলাকা থেকে জালালকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদালতে হাজির করেন। 

মামলার বাদী ও অপহৃত জালাল হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে অনেক মারধর করেছে এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্যও হুমকি দিয়েছে।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী জালাল হাওলাদার বিচারকের কাছে মামলা আর চালাবেন না মর্মে মৌখিক আবেদন করেছেন। এ সময় বাদীর অবস্থা গুরুতর দেখে বিচারক তার চিকিৎসা ও অভিযোগ গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীপক্ষের কৌসুলি মো. জাবির হোসেন বলেন, ‘মামলার আসামিরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে অপহরণ করিয়েছে এবং তাকে মারধরও করেছে। আদালত বাদীকে চিকিৎসার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।’

পাথরঘাটা থানার তদন্তকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত চত্বর থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ করা হয়েছে বিষয়টি আদালত থেকে জানানোর পরপরই অভিযান চালিয়ে পাথরঘাটা কলেজের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করি। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে এ সময়ে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

গো নিউজ২৪/আই

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর