ঢাকা: রাজধানীর গাবতলীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন রুপা (ছদ্মনাম)। মিরপুর-১ নম্বর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কারখানায় যাওয়া-আসার পথে রুবেল নামে এক তরুণের সঙ্গে পরিচয়। এক পর্যায়ে বেশি বেতনে অন্য কারখানায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় রুবেল। পরে এনার্জি ড্রিংকসের নামে অজ্ঞান করার ওষুধ খাইয়ে টাঙ্গাইলের কান্দাপাড়ায় একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাকে। তিন মাস পর এক খদ্দেরের মোবাইল থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে মুক্তি মিলেছে তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. মিরাজুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ৫৩ মিনিটে আমরা একটি ফোন পাই। টাঙ্গাইল থেকে ফোনদাতা কান্দাপাড়া যৌনপল্লিতে একটি মেয়েকে আটকে রাখার তথ্য জানান।
পরে আমরা সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানালে টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতীমা রানী ফোর্স নিয়ে যৌনপল্লির একটি বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
গো নিউজ২৪/এমআর