৪২টি কোম্পানির নামে অবৈধ ৮৬৭টি সিম ইস্যু, আটক ২


বিনোদন প্রতিবেদন: প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৮, ০৩:২৯ পিএম
৪২টি কোম্পানির নামে অবৈধ ৮৬৭টি সিম ইস্যু, আটক ২

অনুমতি ব্যতীত ৪২টি কোম্পানির নামে অবৈধ ৮৬৭টি সিম এ্যাকটিভেট করেন গ্রামীণফোনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বিজনেস সেলসের সৈয়দ তানভীরুর রহমান (৩৫) ও পরিবেশক তৌফিক হোসেন (৩৮)। কর্পোরেট সিম ইস্যু করে বাইরে বিক্রির দায়ে তাদের আটক করে র‌্যাব-৪।   

র‍্যাব জানান, অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৫০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় সিম গুলো।

আজ রোববার র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল করিম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

রোববার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র‍্যাব-৪’র অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল করিম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানির নামে কর্পোরেট সিম ইস্যু করে বাইরে বিক্রি করছিল একটি চক্র। সম্প্রতি একটি নাম্বার থেকে কল করে একজন শ্রীলংকান নাগরিকের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। রবর্তীতে র‍্যাব ৪, এই বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। সেই তদন্তের সূত্রধরে এ চক্রটি শনাক্ত করে সৈয়দ তানভীরুর ও তৌফিককে আটক করা হয়।’ 

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক।

চাঁদা দাবি করা মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে র‍্যাব জানতে পারে, সিমটি কোন বৈধ রেজিষ্ট্রেশন নেই। তৌফিক হোসেনের মালিকানাধীন মোনাডিক বাংলাদেশ নামক একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ থেকে দেওয়া হয়েছে সিমটি। যা এ্যাকটিভেট করেছেন গ্রামীণফোনের সৈয়দ তানভীরুর রহমান।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, অনুসন্ধান করে জানা যায়, মোট ৪২ টি কোম্পানির অনুমতি না নিয়েই তারা এই অতিরিক্ত সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে। কোম্পানি গুলো যদি ৫ টা সিম সংগ্রহ করে, তারা অতিরিক্ত ১০ টা সিম ঐ কোম্পানির নামে উঠায়।

পরবর্তীতে ঐ সিম বিক্রি করে, যা দিয়ে অবৈধ হুমকি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যবহার সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজ করে অপরাধীরা। 

এঘটনায় গ্রেফতারকৃত ২ জনের কাছে থেকে অবৈধ ৫৫৩ টি সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, নয়টি ট্যাব জব্দ করা হয়।

গো নিউজ২৪/জাবু

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর