সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে চুরি নথি গায়েবের আশঙ্কা


ইলিয়াস আরাফাত প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০৮:৪৫ পিএম
সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে চুরি নথি গায়েবের আশঙ্কা

রাজশাহীর পুঠিয়া সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতের যেকোন সময় এ ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এ ঘটনায় পুঠিয়া সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। দলিল লেখকরা বলছেন, একটি বিশেষ মহল জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল বা নথি গায়েবের উদ্দেশ্যেই এ ধরনের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একটি কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙে চোর প্রবেশ করে। এরপর ওই কার্যালয়ের দুটি কক্ষের আলমারি এবং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে ফেলা হয়। আলমারি এবং ড্রয়ারে রক্ষিত জমির দলিল, ভলিউম, টিপ বইসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মেঝেতে ফেলে দেয় চোরের দল।

পুঠিয়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির একটি সূত্র জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার পুঠিয়া সদর বারুইপাড়া এলাকার মামুনসহ কয়েকজন ব্যক্তি সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের পেশকার পান্নার কাছে চাঁদা দাবি করেন। এসময় পান্না চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একটি ফাইল জোরপূর্বক নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন মামুন এবং তার সহযোগীরা।

এসময় দলিল লেখকরা বাধা দিলে তারা দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, মামুন সাবরেজিস্ট্রি অফিসে তার সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজি করেন। গত সোমবার চাঁদা না দেবার কারণে তারা চুরির ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।
 
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, চুরির ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালে জানাজানি হলেও সাবরেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেন বিষয়টি পুঠিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন নি। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা বিষয়টি রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়াকে অবহিত করেন। এরপর দুপুরের দিকে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

তবে সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন দলিল বা নথি গায়েব হয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মহিদুল হক জানান, তিনি রাজশাহীর বাইরে আছেন। বিষয়টি শুনেছেন। তিনি দু’একদিনের মধ্যে পুঠিয়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন।

এ ব্যাপারে পুঠিয়ার সাবরেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, সকালে চুরির ঘটনাটি জানার পর পুলিশকে অবহিত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পুঠিয়া থানার ওসি জানান, থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত ছাড়া কোন দলিল বা নথিপত্র চুরি হয়েছে কী না- তা বলা যাবে না। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
গোনিউজ২৪/কেআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর